মেয়রের ১শ’ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচির উদ্বোধন কাল

মূল লক্ষ্য মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানকল্পে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল ১০ টায় চান্দগাঁও নতুন থানার সামনে থেকে শুরু হবে। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নগর ভবনের আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে চসিক পরিচালিত শিক্ষা বিভাগের প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে বিশেষ বৈঠকে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এই তথ্য জানান দেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মেয়র আরো বলেন, শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, নৈতিকতা এবং দেশপ্রেমবোধ ছাড়া শিক্ষা একটি অপদার্থ বর্জ্য- এই বর্জ্য সরিয়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সমস্যা আছে এবং থাকবেই। তবে সমস্যা চিহ্নিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে সকলের সুপারিশই হলো সমাধানের মূল সূত্র। তিনি শিক্ষকদের সমাজের গ্রহণযোগ্যতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সমাজে মানুষের কাছে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ও ইমামগণ। তাঁদের কথা সকলেই শুনেন। যদি তাদের চরিত্রে কলঙ্কের দাগ পড়ে তা পুরো সমাজকেই কলুষিত করে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে। তিনি প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তাকে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান অবস্থা এবং সমস্যাসহ প্রাসঙ্গিক চালচিত্র উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন। মেয়র বলেন, শিক্ষাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিই। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কর্পোরেশন চলে, তবে অকারণে বোঝা বহনের ক্ষমতা নেই।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, আমি চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে জানি নূর আহমদ চেয়ারম্যান ও এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী শিক্ষার আলোকবর্তিকা। তাঁদের সেই গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষা খাতে সিটি কর্পোরেশনকে বড় অংকের ভূর্তকি দিতে হয়- এটা বোঝা, এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সমাজের সক্ষম মানুষের বদান্যতায়।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে পরিচালনা কমিটি আছে তাতে মেয়র প্রধান মাত্র। এছাড়া এই কমিটিতে সিটি কর্পোরেশনের সরাসরি প্রতিনিধিত্ব নেই। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিক হালচাল অগোচরে থেকে যায়। এই বিষয়ে তিনি সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আমিনুল হক, কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম, পূর্ব মাদারবাড়ি সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী আকবর ও হাফেজ মাওলানা কাজী খাইরুল আনোয়ার প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় সদাজাগ্রত
পরবর্তী নিবন্ধদেশে টিকা গ্রহীতা ১৮ লাখ ছাড়িয়েছে