কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে আরও দুই হাজার ১৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে। গতকাল সোমবার চতুর্থ দফায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়। সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে তারা রওয়ানা দিয়েছিল বলে জানান নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক। এসব রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে বাসে করে রোববার চট্টগ্রামে এনে রাখা হয়েছিল। এদিকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য গতকাল সোমবার দুই ব্যাচে আরও ৮৮০ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছে। তাদের আজ মঙ্গলবার পাঠানো হবে। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৭০২ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আমাদের উখিয়া প্রতিনিধি জানান, সোমবার (গতকাল) আরও হাজার খানেক রোহিঙ্গা ভাসানচর অভিমুখে উখিয়া থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছে। স্বেচ্ছায় ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা জানান, অশান্তির আগুন হতে বাঁচতে তারা স্থানান্তরিত হচ্ছেন।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এর কমান্ডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তারিক ও সরকারি একটি সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এমন প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাওয়া গেছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছেম গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় দফার (প্রথমদিন) ১ হাজার ৭৭৮জন ও ৩০ জানুয়ারি (দ্বিতীয় দিন) ১ হাজার ৪৬৪ জন এবং গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফার (প্রথমদিন) ২ হাজার ১৪ জনসহ এ পর্যন্ত ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে ৮ হাজার ৭০২ জনকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলা শুরু হলে তারা বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। এসময় প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে কঙবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে।