বিদ্রোহের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ভাষা আান্দোলনের জন্য জীবনদান সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন বেলা প্রায় ২টা পর্যন্ত মিছিল করে ছাত্ররা বীরত্বের সঙ্গে গ্রেফতারি বরণ করতে থাকে। তখন ধীরে ধীরে ছাত্ররা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে, মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গেটে জমা হতে থাকে। দলবদ্ধ হয়ে স্লোগান দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে পথে বেরিয়ে এলে এবং প্রাদেশিক পরিষদ ভবনের দিকে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ যখন তাদের ওপর প্রচণ্ড কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ, বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও পাইকারী গ্রেফতার শুরু করে, তখন মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ড বয়, বেয়ারা, মেডিক্যাল হোস্টেলসংলগ্ন রাস্তার পাশে রেস্টুরেন্টের বয়-বেয়ারা, পথচারী, রিকশাওয়ালা প্রমুখ তাদের সঙ্গে যোগদান করে। এ সময় এমএলএ ও মন্ত্রীরা মেডিক্যাল কলেজের সামনে দিয়ে পরিষদে আসতে থাকেন। ছাত্ররা যতই স্লোগান দেয়, পুলিশ ততই হানা দেয়। কয়েক বার ছাত্রদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাড়া করতে করতে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের ভেতর ঢুকে পড়ে। হোস্টেল প্রাঙ্গণে ঢুকে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করায় ছাত্ররা বাধ্য হয় ইটপাটকেল ছুড়তে। পুলিশ তখন দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়।
এম আর আখতার মুকুল সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, বেলা ৩টা ১০ মিনিটের সময় আকস্মিকভাবে একদল সশস্ত্র পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের মধ্যে প্রবেশ করে এবং গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থলে জব্বার ও রফিকউদ্দীন নিহত হন। প্রকাশ্য রাস্তার ওপর পড়ে থাকা গোটা দুয়েক লাশ পুলিশ নিজেদের ট্রাকে নিয়ে যায়। সত্যিই রক্তের স্রোত এক ফুঁয়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল সরকারের সমস্ত ব্যারিকেড। একুশে ফেব্রুয়ারি ঠিক কতজন শহীদ হন তা জানার উপায় নেই। পুলিশ অনেক লাশ সরিয়েছে। এ কথা ভাষাসৈনিকদের কথায় উঠে এসেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর উন্নয়নে এমপিদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান নওফেলের
পরবর্তী নিবন্ধচসিকে রেজাউল অধ্যায় শুরু