পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে গত রবিবার ৮নং ওয়ার্ডে সহিংসতা ও সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ওই ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজিবকে প্রধান করে ৭জনকে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরো ১৫/১৬জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নান বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন মো. ইকবাল (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. মনির (২১), মো. জাবেদ (২৪), মো. ওয়াহেদ (২৫) ও মো. দিদার (৩৬)।
সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আবদুল মাবুদ কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নানের ছোট ভাই। নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সওয়ার কামাল রাজিব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীনের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকীর পুত্র।
এদিকে গতকাল সোমবার হামলায় নিহত মো. আবদুল মাবুদের জানাযা জোহরের পর দক্ষিণ গোবিন্দার খিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় নবনির্বাচিত মেয়র আইয়ুব বাবুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সকাল থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য গত রবিবার নির্বাচনী সহিংসতার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাউন্সিলর প্রার্থী সরোয়ার কামাল রাজীব ও আবদুল মান্নানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নানকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। নির্বাচনে সরোয়ার কামাল রাজীব ১৫৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মান্নান পান ৩৪০ ভোট। আবদুল মান্নান তিন বার ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন নির্বাচনী সংঘর্ষের ঘটনায় আবদুল মাবুদ নিহত হওয়ায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল এ মামলার প্রধান আসামি সরোয়ার কামাল রাজীবকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।












