সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ব্যালট পুনঃগণনা ও পুনঃনির্বাচন দাবি করেছে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে তারা রিটার্নিং অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে খোরশেদ আলম (টেবিল ল্যাম্প) ৯২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী (উট পাখি) পেয়েছেন ৭৭২ ভোট। এছাড়াও মো. ওসমান গণি (গাজর) ৬৩৭ ভোট এবং মো. ওয়াহিদুল আলম (ডালিম) ৫৮৭ ভোট পান।
ফলাফল ঘোষণার পর মো. আলী ও মো. ওয়াহিদুল আলম ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে বলেন, সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পর একটি মুন্ডা খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। কিন্তু সে মুন্ডা কোথায় গেছে তার কোনো সদুত্তর না দিয়ে তারা কেন্দ্র থেকে চলে যান। ফলে মনে হচ্ছে ওই কেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এজন্য কেন্দ্রের সব ব্যালট পুনঃগণনা এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
উক্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশীষ বরণ দেব জানান, সব কিছু ঠিক আছে। তারা হেরে যাওয়ায় মনগড়া অভিযোগ তুলছেন। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই।
রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এখনো আমার হাতে আসেনি। তবে ফলাফল ঘোষণার পর এক প্রার্থী মৌখিকভাবে এ ধরনের একটি কথা বলেছিলেন। কিন্তু রেজাল্ট শিটে প্রার্থীদের এজেন্টের স্বাক্ষর রয়েছে।












