আনোয়ারায় টিকার নিবন্ধনে বিড়ম্বনা

ইন্টারনেটের ধীরগতি

আনোয়ারা প্রতিনিধি | রবিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনীতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তিন দিন ধরে বিনামূল্যে করোনা টিকার নিবন্ধনে সহযোগিতা করছিলেন ইমরান হোসাইন। আগের দুই দিন প্রতি তিন মিনিটে একটি করে নিবন্ধন করছিলেন তিনি। কিন্তু গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি নিবন্ধন করতে পেরেছেন।
পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে দিনভর বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যদিও টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন বুথ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকজনের আগ্রহের কমতি ছিল না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় টিকা কেন্দ্রে উপস্থিতি অন্য দিনগুলোর চেয়ে বেশি ছিল। ইন্টারনেটের ধীরগতির মধ্যেই একদিনে ৫৫৯ জন টিকা নিয়েছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও লক্ষণীয় ছিল এদিন।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন আজাদীকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে টিকা প্রদানের যে লক্ষ্যমাত্রা তা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। প্রতিদিন ৬৫০ থেকে ৭০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের।
জানা গেছে, গত রোববার থেকে আনোয়ারায় করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় ১৫ হাজার ৫৫২ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। হাসপাতালের ১২ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী দুই শিফটে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
গতকাল সকালে আনোয়ারা হাসপাতালে করোনা টিকা দিতে যান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আহমদ সৈয়দ (৭৪)। তিনি বলেন, হাসপাতালের কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে সেবা দিচ্ছেন।
চার কিলোমিটার দূরের চাঁপাতরী গ্রাম থেকে টিকা নিতে আসেন গৃহবধু কাজী ফাহমিদা হক। তিনি জানান, টিকা নেয়ার জন্য ভিড় থাকলেও সবকিছু সুশৃক্সখল ছিল। কারো মধ্যে কোনো বিরক্তি ছিল না। তবে ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় রেজিস্ট্রেশনে বেশি সময় লেগেছে।
স্বেচ্ছাসেবী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, গতকাল তাদের বুথে অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। রেজিস্ট্রেশন ও টিকা কার্ড প্রিন্ট করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। ইন্টারনেটের ধীরগতি না থাকলে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা আরো বাড়ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাছটির মৃত্যু হতে সময় লাগল দুই বছর
পরবর্তী নিবন্ধআমরা মাঠে নেমে গেছি আর ফিরে যাবো না