২০১৮ সালের মে মাসে ফুলে ভরা তালিপাম গাছের সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল আজাদীতে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্লভ প্রজাতির গাছটি অচিরেই মরে যাবে। গাছটির মৃত্যু হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগল। ২০১৮ সালের মে’তে গাছটি তরতাজা থাকলেও বর্তমানে গাছের আগা শুকিয়ে গেছে। পাতাগুলো অনেক আগেই ঝরে পড়েছে। তালিপাম গাছটি কাপ্তাই উপজেলার পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর পুকুরপাড়ে অবস্থিত। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন জানান, তালিপাম গাছটি মরে গেছে। গাছটি যেকোনো মুহূর্তে কেটে ফেলা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গাছটিকে দূর থেকে দেখতে তালগাছের মতো মনে হয়। অনেকে গাছটিকে তালিপাম বলেন। কারো কাছে এটি ‘বুড়িপাম’ হিসেবে পরিচিত। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৪০ মিটার। বেড় প্রায় ২ মিটার। বয়স আনুমানিক ৬৪ বছর।
২০১৮ সালের মে মাসে তোলা ছবিতে গাছটির মাথাভর্তি ফুল ছিল। কিন্তু ফুল ফোটাই কাল হলো। মৃত্যুর জন্য দায়ী অনন্য সুন্দর ওই ফুল। যদি ফুল না ফুটত তাহলে গাছটি আরো কিছুকাল বেঁচে থাকত।
তালিপামের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার, শ্রীলংকা, দক্ষিণ ভারত ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুষ্পমঞ্জুরি বিশিষ্ট পামগাছ এটি। এই গাছে জীবনে একবারই ফুল দেয়। আর ফুল দেয়ার পরই মৃত্যু হয়।