সাকিব-সাদমানের জায়গায় নতুন দুজন আসবে সেটা নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু মোস্তাফিজের বদলে আবু জায়েদ রাহি দলে জায়গা পাবেন সেটা অনেকের অনুমানে ছিলনা। যদিও চট্টগ্রাম টেস্টে ভাল বল করতে পারেনি মোস্তাফিজ। তবে একমাত্র পেসার হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া রাহি একেবারে মন্দ করেনি। রাহির পেস আর তাইজুলের স্পিনে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে খুব বেশিদূর এগুতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২৩ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে। উইকেট হারিয়েছে ৫টি। দিন শেষে ক্যারিবিয়ানদের তিনশ রানের নিচে গুটিয়ে দেওয়ার আশাবাদ বাংলাদেশের। দিনের প্রথম সেশনটা দারুণ কেটেছিল ক্যারিবীয়দের। দ্বিতীয় সেশনে ম্যাচে ফিরেছিল বংলাদেশ। শেষ সেশনটা আরেকটু ভাল হলে হয়তো দিনটা আরো ভাল হতে পারতো স্বাগতিকদের। তারপরও স্বস্তিদায়ক দিনই পার করেছে মোমিনুল হকের দল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার দারুণ শুরু করেছিল। ৬৬ রানের জুটি গড়েন ব্রেথওয়েট এবং জন ক্যাম্পবেল। তাইজুল এসে এজুটি ভাঙেন ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে। শাইনি মসলে এসে অধিনায়ককে বেশিক্ষনণআল হাসানে জায়গায় সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার। তিনি ফেরান ক্যারিবীয় অধিনায়ককে। ৪৭ রানে ফিরেছেন ব্রেথওয়েট। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলকে একাই হারিয়ে দেওয়া কাইল মেয়ার্সকে এবার দাড়াতেই দেয়নি আবু জায়েদ রাহি। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মেয়ার্স। ৫ রান করে ফিরেছেন মেয়ার্স। তবে বনার এবং ব্ল্যাকউড মিলে ৫২ রান যোগ করে আবার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তাইজুলের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ব্ল্যাকউড লিলে ভাঙে এ জুটি। শেষ বিকেলে আরো দু-একটি উইকেট তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। বনার এবং জসোয়া ডা সিলভা মিলে দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে পার করে দেন। ফলে দিন শেষে রানটা খুব বেশি না হলেও অন্তত ৫টি উইকেট রেখে দিতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকনে বনার। আর উইকেট রক্ষক জসোয়া ডা সিলভা অপরাজিত আছেন ৪৬ বলে ২২ রান করে। বাংলাদেশ দল তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। সাকিবের জায়গায় সৌম্য সরকার আর সাদমানের জায়গায় মাঠে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে মোস্তাফিজের জায়গা সুযোগ পাওয়া আবু জায়েদ রাহি প্রথম বল হাতে ভালই করেছেন। ২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন ৪৬ রানে। তাইজুলের পকেটেও জমা পড়েছে ২ উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাঈম হাসান পারেননি বল হাতে সফল হতে। চট্টগ্রাম টেস্টেও প্রত্যাশা পূরনে ব্যর্থ হয়েছিলেন নাইম হাসান। মিরাজ ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেললেও ঢাকায় এখনো বল হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আজ দ্বিতীয় দিন কত কম রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেধে রাখতে পারে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।