২০১০ সালে ‘খোঁজ- দ্য সার্চ’ দিয়ে নতুন নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলকে খুঁজে পায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকরা। স্ত্রী বর্ষাকে সঙ্গীকে করে মুনসুন ফিল্মসের ব্যানারে একের পর এক চলচ্চিত্র তৈরি করে চলেছেন এই নায়ক। মজার বিষয় হলো, তার প্রায় প্রতিটি ছবির নাম বা একটি অংশ থাকে ইংরেজিতে। বিশেষ করে তার নামে ইংরেজি আর্টিকেল ‘দ্য’-এর আধিপত্য থাকে। কেন? এমনই একটি প্রশ্ন তাকে করা হয়েছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ‘দিন দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী দ্য লিডার’ নামের নতুন দুটি ছবিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন অনন্ত। এতে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরেন এই চিত্রনায়ক। বললেন, আমি যখন প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করি, আমার মাথায় ছিল, আমাদের দেশে কী হলে ছবি চলবে? আধুনিক কী থাকবে? ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘খোঁজ- দ্য সার্চ’ ছবিতে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে তা ২০০৯ সালে হলিউডে এসেছে। আমরা সেই সাউন্ড সিস্টেম উপহার দিয়েছি। আমরা সারাজীবন বন্দুকের নল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছি। কিন্তু আমার ছবিতে গুলি হওয়ার সময় স্পার্কিং করা দেখেছিয়েছি। আমি সবসময় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। সেভাবেই ভেবেছি। নামে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করার বিষয়টি নিয়ে তার ভাষ্য, শুরুতে আমার চিন্তাভাবনাই ছিল, যখন মুভি করব, ইন্টারন্যাশনাল মানের করব। এবং সেটি বিদেশে এঙপোর্ট করব। আমি নিজে রফতানিকারক ব্যবসায়ী। তাই ছবিটিও রফতানি করতে চাই। আর সেটা করতে হলে বিদেশি দর্শকের সামনে আন্তর্জাতিক ভাষার একটি নাম থাকতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই চলচ্চিত্রের নামের একাংশ ইংরেজিতে থাকে। এখন পর্যন্ত ১০টি ছবির কাজে হাত দিয়েছেন অনন্ত। একটি ছাড়া বাকিগুলোর প্রতিটিরই ইংরেজি নাম আছে। তার মধ্যে পাঁচটির নামের মাঝে আছে ‘দ্য’ শব্দ। ২০১০ সালে মুক্তি পায় অনন্ত-বর্ষার প্রথম ছবি ‘খোঁজ- দ্য সার্চ’। এরপরের চলচ্চিত্রগুলো হলো- হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ- হার্ট ব্রেকং ব্লো, দ্য স্পিড, মোস্ট ওয়েলকাম, নিঃস্বার্থ ভালবাসা- হোয়াট ইজ লাভ?, মোস্ট ওয়েলকাম ২, দ্য স্পাই (নির্মিতব্য), সৈনিক (নির্মিতব্য), দিন- দ্য ডে (মুক্তিপ্রতিক্ষীত) ও নেত্রী দ্য লিডার (নির্মিতব্য)।