মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে এক মেয়র পদপ্রার্থীর অভিযোগ, পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ঢাকায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে। গতকাল রোববার সকালে কালকিনির দক্ষিণ কৃষ্ণনগরে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের একথা বলেন কালকিনি পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান সবুজ। তবে পুলিশ বলছে, মশিউর রহমান সবুজ নিজেই ঢাকা গিয়ছিলেন, পুলিশ তাকে যেতে ‘সহযোগিতা’ করেছ মাত্র। স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে মশিউর রহমানকে কালকিনি থানার ওসির গাড়িতে তোলার পর কোনো খোঁজ না মেলায় সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ-সংঘর্ষ ও থানা ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে। পুরো রাত মশিউরের কোনো খোঁজ মেলেনি। রোববার ভোরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। মশিউর রহমান সবুজ কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এখন দলের কোনো পদে নেই। খবর বিডিনিউজের।
মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দুপুর ২টার দিকে কালকিনি পৌর এলাকার ঝাউতলায় নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। এই সময় তার মোবাইলে ফোন করেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। তাৎক্ষণিক সেখানে কালকিনি থানার ওসি নাছির উদ্দিন গাড়ি নিয়ে হাজির হন। পরে সেখান থেকে পুলিশের গাড়িতে করে আমাকে তুলে নিয়ে যান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে পুলিশ সুপার গাড়িতে করে নিয়ে যান ঢাকায়।
মশিউর আরও বলেন, ঢাকায় আমাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর সাথে দেখা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমাকে কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বললেও জনগণের ইচ্ছায় নির্বাচনী মাঠে থাকার কথা জানাই।
এ্ই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় মশিউর রহমান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এসে নির্বাচনে তার অবস্থা তুলে ধরেন। ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মশিউরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন। পরে তিনি সরে দাঁড়ান।
এদিকে ‘তুলে’ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, মেয়র প্রার্থী সবুজ নিজ বাড়িতে আছেন। তার কোনো ক্ষতি হয়নি। পুলিশ তাকে ‘তুলে’ নিয়ে গেছে এই বিষয়টি ঠিক নয়। সবুজ ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং রাতেই ফিরে এসেছেন।
মাদারীপুরের এসপি মোহাম্মদ মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, মশিউর রহমান নির্বাচনী তথ্য বিনিময়ের জন্য তার (এসপি) কার্যালয়ে এসেছিলেন। সেখান থেকে ব্যক্তিগত কাজে তিনি ঢাকা যেতে চাইলে পুলিশ তাকে সেখানে যেতে ‘সহযোগিতা’ করেছে।