নৌকার মেয়র প্রার্থী আকবরের ১৯ দফা প্রতিশ্রুতির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচন

রাঙামাটি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:০৪ অপরাহ্ণ

আসন্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ ধাপের রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আকবর হোসেন চৌধুরী পৌর নাগরিকের সেবার অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন এলাকার চলমান উন্নয়নের পাশাপাশি নির্বাচনে জয় পরবর্তী তার আগামী মেয়াদের পরিকল্পনা হিসেবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
আজ শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শহরের ফিসারী বাঁধ রক্ষা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনকরণ, পরিবেশবান্ধব ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি, ইয়ুথ আইটি সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু, নিম্ন আয়ের মানুষের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের ওপর গুরুত্বারোপ করে ১৯ দফা সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন বর্তমান পৌর মেয়র।
এসময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, হাজী কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. সোলায়মান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহারে আকবর হোসেন চৌধুরী গত মেয়াদে (২০১৬-২০২০) মেয়র হিসেবে রাঙামাটি পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করে বলেন, “আমি ৫ বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস ও পাহাড় ধ্বসের কারণে ২ বছর কাজ করতে পারিনি কিন্তু যেটুকু সময় পেয়েছি সেই সময়ে আমি রাঙামাটি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের অবকাঠামোসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছি।” এবার নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অঙ্গিকার করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আকবর হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, “এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার পরিবেশ ও আইন-শৃঙ্খলাসহ সকল ধরনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপাতত পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়নের প্রয়োজন মনে করছি না।”
তিনি আরো বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে রাঙামাটি পৌরসভাকে একটি সেবামূলক ও জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরোপুরি দাঁড় করাব।” সবশেষে তিনি অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আকবর হোসেন চৌধুরীর ১৯ দফা আগামী পরিকল্পনাগুলো হলো এক হাজার আসন বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার অডিটরিয়াম (টাউনহল) নির্মাণ, ফিসারী বাঁধ রক্ষা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনকরণ (যদি হস্তান্তর করা হয়), শহরের বাহিরে পরিবেশবান্ধব ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ করা, পৌর এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা, পৌর এলাকায় ১০টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন স্থাপন, পৌর এলাকা গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা চালুকরণ, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প করা, ইয়ুথ আইটি সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুকরণ, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান, বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে শহরকে সবুজায়ন করা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন, শহরকে সোলার প্যানেলের আওতায় এনে সিসিটিভির মাধ্যমে সেবা দেওয়া, নাগরিক সেবা বৃদ্ধির জন্য ওয়ানস্টপ অনলাইন কল সেন্টার স্থাপন করা, রাঙামাটি শহরকে মাদকমুক্ত রাখা, শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনানুসারে কিচেন মার্কেট নির্মাণ, শহরে এলাকা ভিত্তিক নিরাপত্তা গেইট নির্মাণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন সড়কের নামকরণ, শহরের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল জায়ান্টস্ক্রিন স্থাপন, বিগত সময়ে অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাসহ নানা পরিকল্পনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশনাক্তের হার কমেছে
পরবর্তী নিবন্ধভালবাসা দিবস ঘনিয়ে আসতেই ভিড় বাড়ছে কক্সবাজারে