নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও তার ক্যাডার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ১৪নং লালখানবাজার ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আওয়ামী লীগেরই টিকিটে নির্বাচিত কাউন্সিলর বেলাল। সংবাদ সম্মেলনে আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, চসিক নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি-ধমকি ও অপ্রচারসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একের পর এক মামলা দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে দিদারুল আলম মাসুম।
তিনি জানান, চসিক নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর মাসুম ও তার ক্যাডার বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমাকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান করে। এ নিয়ে জিডি করতে আমি খুলশী থানায় গেলে কোন এক অদৃশ্য কারণে তা গ্রহণ করা হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষায় আমরা নির্বাচন কমিশনকেও মাসুম ও তার বাহিনীর কার্যক্রম অবহিত করি।
বেলাল বলেন, সকল আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে নির্বাচনের দিনে মাসুম ও তার ক্যাডার বাহিনীর নেতৃত্বে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মানিক, টাইগার পাসের জোড়া খুন মামলার আসামি লিমন (সাইফুল ইসলাম লিমন) বাহিনী আমার নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা চালায়। তিনি আভিযোগ করে অঅরো বলেন, তার অনুগত বাহিনী আমার নেতাকর্মীদের ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টাসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে ও আমাকে কর্মীশূন্য করতে নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি তার অনুসারীদের হামলায় তার নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্র কমিটির আহবায়কসহ ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর দাবি করেন, দিদারুল আলম মাসুম আওয়ামী লীগের নেতা হলেও ২৭ তারিখের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ভোটারশুন্য নির্বাচনের লক্ষে কাজ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আনজুমান আরা, দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ বেলাল সমর্থক অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এবার নির্বাচনে লালখান বাজার ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আবুল হাসনাত বেলাল। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন এ এফ কবির মানিক। নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম মানিকের হয়ে কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।