নতুন ধারার সূচনা করতে চাই : রেজাউল

কথা দিচ্ছি, নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামকে সাজানো কোনো ব্যাপারই নয় মন্তব্য করে বলেছেন, আমি নতুন ধারার সূচনা করতে চাই। সবাইকে নিয়ে এ শহর গড়তে চাই। কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি। কথা দিচ্ছি, নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না। তিনি বলেন- সব শ্রেণি পেশার প্রতিনিধির পরামর্শে টেকসই পরিকল্পিত নগর গড়তে চাই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই এগুতে চাই। তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা কামনা করেন।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু সমালোচনা নয়, প্রতিকারের পথও দেখাতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর ছাড়াও নবনির্বাচিত কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি নগরী গড়ে তোলা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ছয় দফার স্মৃতিবিজড়িত লালদীঘিকে সাজিয়েছেন।অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকেও আমরা সাজানোর উদ্যোগ নেবো।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। বর্জ্য থেকে সার, বিদ্যুৎ হচ্ছে। আমি সূচনা করতে চাই, যা পরের প্রজন্ম এগিয়ে নেবে।
করোনার সূচনায় চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা বিপন্ন হয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পিতার কোলে সন্তানের মরদেহ নিয়ে আহাজারি দেখেছি। আমি আইসোলেশন সেন্টার করেছিলাম। ফুটপাতের অসহায়দের জন্য আমি চিন্তা করেছি। ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা চালু করবো। বিত্তবানরা এগিয়ে এলে অনেক কিছু করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাসকে কোনদিন প্রশ্রয় দেইনি, ভবিষ্যতেও দেবো না। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। পরিত্যক্ত সরকারি জায়গায় শিশুদের খেলার মাঠ করবো। সৃজনশীলতার বিকাশে মুক্তমঞ্চ, সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ তৈরি করতে চাই।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। উনি আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, এচট্টগ্রাম নিয়ে আমরা গর্ব করি। বৈপ্লবিক চট্টগ্রাম। নৈসর্গিক চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ফেরাতে হলে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। পাহাড় কেটে শেষ করে দিয়েছে। লোভী মানুষ সুন্দর ভূমিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। জলাধার ভরাট করে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চসিকের সমন্বয় সভায় জবাবদিহি থাকতে হবে। মেয়রের কর্তৃত্ব থাকতে হবে। আমরা সুন্দরভাবে শহরকে সাজাতে কাজ করতে চাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসির বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা শাহাদাতের
পরবর্তী নিবন্ধবন্দরের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন নতুন চেয়ারম্যান