চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভায় পুষ্পা (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর পর অ্যাম্বুলেন্সযোগে শিশুটির লাশ এলাকায় আনলে শুরু হয় লোকজনের মধ্যে আলোচনা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার লালুটিয়া এলাকায় বসবাসকারী স্বামী পরিত্যক্তা বিলকিছ আক্তারের (২৫) সাথে গত ২ মাস পূর্বে বিয়ে হয়ে মো. রাসেল (৩০) নামে বরিশালের এক যুবকের সাথে। বিয়ের পরে তারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার আজগরের কলোনিতে বসবাস করে আসছিল। বিলকিছ বিয়ের পর তার আগের ঘরের কন্যা সন্তান পুষ্পাকে তার ছোটবোন নার্গিস আকতারের ঘরে রেখে আসে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন আগে পুষ্পা পড়ে গেলে তার পায়ে ব্যথা পায় এবং সে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে তাকে নিয়মিত হাঁটানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু ঘটনার দিন গত শুক্রবার তার সৎ পিতা মো. রাসেল শিশুটির হাত ধরে হাঁটতে বের হয়। এসময় তার মোবাইল ফোনে রিং বেজে উঠলে মোবাইল ধরতে গিয়ে অসর্তকতাবশত শিশু পুষ্পার হাত ছেড়ে দিলে সে আবারো পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এরপর তার অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক সেখান থেকে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনারদিন রাত ১১টায় চমেক হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শিশু পুষ্পা মারা যায়। এদিকে শিশু পুষ্পার লাশ গতকাল বিকেল ৩টায় দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় নিয়ে আসলে আশেপাশের লোকজন বলতে থাকেন সৎ বাবা ও শিশুর মা মিলে শিশুটিকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলেছে। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে পুরো দোহাজারী এলাকায়। ভিড় জমে যায় উৎসুক জনতার। খবর পেয়ে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এব্যাপারে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে দুর্ঘটনাবশত শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। শিশুটির মৃত্যু যদি অস্বাভাবিক হতো তাহলে চমেক হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়া হতো না। তারপরও আমরা আইনগতভাবে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করেছি। শিশুটির মা নিজেই শিকার করেছে তার মেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার পর দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ মৃত্যু নিয়ে তার মা’র কোন অভিযোগ না থাকায় শিশুর লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।