নৌ বাহিনীর চারটি জাহাজে চড়ে তৃতীয় দফায় ১ হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা পৌঁছেছে ভাসানচরে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে রোহিঙ্গাদের দলটি ভাসানচর পৌঁছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদেরকে অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে জাহাজে তোলা হয়। ভাসানচরে পৌঁছার পর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় থাকতে দেয়া হয়। এদিকে তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার ভাসানচরের উদ্দেশ্য উখিয়া ছেড়ে আসা আরও সহস্রাধিক রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম পৌঁছেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে এসব রোহিঙ্গাকে ক্যাম্প হতে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। পরে সেখানে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে বাসযোগে নগরের বিএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা জানিয়েছেন, পতেঙ্গা নৌ-ঘাট থেকে ১ হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে নৌ-বাহিনীর ৪টি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছেছে। আজ আরও প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যাবে। এই নিয়ে পাঁচ হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরে আশ্রয় পেলো। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরিত করা হয়। গতকাল পাঠানো হলো ১ হাজার ৭৭৮ জনকে। আজ আরো অন্তত ১৩শ’ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগেও কয়েক দফা নির্যাতনের শিকার হয়ে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় এগার লাখ। এদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আশ্রয় দেয়ার জন্য দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেখানে ক্রমান্বয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।