চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় পাথরঘাটা ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে এক যুবককে গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। কে এই যুবক? স্থানীয়দের মধ্যে কেউ বলছেন যুবকটি পাথরঘাটা জলিলগঞ্জ কুইশ্যালপাড়ার ছেলে। কেউ বলছেন, নির্বাচনী সংঘর্ষে নোয়াখালী থেকে একটি বড় গ্রুপ এসেছিল। ছেলেটিও এসেছে নোয়াখালী থেকে। আবার কেউ বলছেন, ছেলেটি সিটি কলেজের ছাত্র, নাম সাইফুল। তবে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন এ প্রসঙ্গে আজাদীকে বলেন, আমরা ছেলেটিকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তবে এখনই নাম পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ছেলেটি কোন প্রার্থীর হয়ে সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিল জানতে চাইলে- ওসি নেজাম বলেন, কোন পক্ষ সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। এ ব্যাপারে মাননীয় কমিশনার স্যারেরও কঠোর নির্দেশনা আছে, যে বা যারাই বিশৃক্সখল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পাথরঘাটায় নির্বাচনকালীন সংঘর্ষের সেই ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, একটি গলি থেকে বেরিয়ে জ্যাকেট পরিহিত ওই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুঁড়ে আবারো দৌঁড়ে গলির ভেতর ঢুকে গেছে। পরে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালির নেতৃত্বে একদল যুবক দৌঁড়ে ওই গলির মুখ পর্যন্ত আসে। এসময় বালির সাথে থাকা কয়েকজনের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আজাদীকে জানান, ছেলেটি পিস্তল তাক করলে অপর প্রান্ত থেকে ইসমাইল বালি তাকে গুলি করতে বলেন। পরে ছেলেটি তা না করে ফাঁকা গুলি করে ছুটে পালায়।
প্রসঙ্গত: ভোটের সময় ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীরের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালির সমর্থকদের দফায় ধাওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ইভিএম মেশিন। এসময় বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালিকে আটক করা হয়। পরে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।