নগরীর পাথরঘাটায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রিজাইডিং অফিসারের করা মামলায় বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বালিকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আগেরদিন ভোট কেন্দ্রে ভাঙচুর, কর্মকর্তাদের মারধরসহ নানা অভিযোগ এনে বিএনপির এ নেতাসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। গতকাল চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির এ প্রার্থীকে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত শুনানি শেষে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। ডা. শাহাদাত হোসেনসহ নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নেতাকর্মীরা।
গত বুধবার সকাল ১১টায় চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ও সোবহানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গোলাগুলি, ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করাসহ নিবাচনী কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগ উঠে। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তখন দুইটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। দুপুরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন বালিকে আটক করে।
হামলায় আহত পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ শাহজাহান বাদী হয়ে বুধবার রাতে কোতোয়ালী থানায় বিএনপি প্রার্থী বালিসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করে। পরে এ মামলায় বালিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধর, হত্যা চেষ্টা, কেন্দ্র দখল, মারামারি, ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মো. সেলিম(৩৫), আবুল খায়ের (৩৩), আব্দুর রহমান সাদু (৫০), মো. ইব্রাহিম (৫২), আব্দুল কালাম (৪৩), মো. হোসেন (৩৭), জাহেদ (৩৭), মফিজুর রহমান (৪০), আব্দুল জলিল রিপন (৩৮), আব্দুস সোবহান (২৮), সাইদুল হক শাহেদ (৩৮), ইউসুফ (৫৬), শাহাদাত হোসেন নাবিল (২৪), সাইফুল (৩৫), সরোয়ার ওয়াহিদ (৩০), ইফতেখার ইকবাল নাদিম (২৮), জসিম উদ্দিন (২৬), আবু তৈয়ব (৩৩), আবুল খায়ের টুটুল (৩৬), রুবেল (৩২), আকিব জাবেদ (৩০), জসিম (৩৫),প্রিন্স মারুফ (২৭)সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন। পুলিশ জানায়, এ মামলার বাকী আসামিরা পলাতক রয়েছে।