সাধারণ ছুটি ঘোষণা না থাকার পরও গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ঘিরে নগরী ছিল ফাঁকা। শহরের অভ্যন্তরে মূল সড়কের পাশাপাশি অলিগলির সড়কগুলোতেও লোকজনের উপস্থিতি ও চলাচল তুলনামূলক কম ছিল।
গতকাল বিশেষ করে সকাল থেকে এ ধরণের চিত্র বিরাজমান ছিল। জানা গেছে, চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঘিরে গণপরিবহন বাস, মিনিবাস বাদে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছিল। এতে করে সড়কে হাতেগোনা কয়েকটি বাস, মিনিবাস ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যানবাহনগুলোর চলাচল বাদে সিএনজি রিকশা, টেম্পো, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহনগুলোর চলাচল বন্ধ থাকে। মূল সড়কগুলোতে কয়েকটি বাসের চলাচল থাকলেও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস যাত্রীরা। অনেককেই পায়ে হেঁটে নিজ গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে। এছাড়া প্যাডেল চালিত রিকশাকে বিপদের বাহন হিসেবে অনেকেই বেছে নিয়েছেন। চট্টগ্রামে অর্থনীতির টাইমলাইন চট্টগ্রাম বন্দরেও কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের চলাচল কম ছিল। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস ঘিরে লোকজনের উপস্থিতি স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল।
তবে বিকাল গড়ানোর সাথে সাথে গণপরিবহণের পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে লোকজনের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এছাড়া ইপিজেডে দুই পোশাক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এ দিন ছুটি ঘোষণা করেছিল।