নগরের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফিরোজ শাহ এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল আলম জসিমের আটক ও তার এক কর্মীর মৃত্যুর খবরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কৈবল্যধাম-বিশ্বকলোনি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সড়কে ব্যরিকেড দিয়ে আগুন দেয় জহুর আলমের সমর্থকরা। স্লোগান দেয় তার মুক্তির দাবিতে। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাসের কাঁচও ভাঙচুর হয়।
এর আগে সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল আবছার ও জসিমের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, দুপুরে নুরুল আবছার ও জসিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে জসিমের এক কর্মী মারা গেছে। এতে আকবর শাহ থানার অদূরে সেভেন মার্কেট এলাকায় আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এক পর্যায়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরুল আলম জসিমকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে জসিমের অনুসারিরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে। কলোনির গেট আটকে এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ফেলে সড়কে বন্ধ করে দেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাংক আবাসিক এলাকার আই ব্লক রোডের এক পাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। অপরপাশে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা অবস্থান নেয়। এসময় সড়কে আগুন দেয়ার ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের মারতে উদ্যত হয় অবরোধকারীরা। আতংকে আশপাশের লোকজন ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। এসময় আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আবছার সাংবাদিকদের বলেন, আমার কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে জহুরুল আলম জসিমকে ধরে নিয়ে গেছে। শহীদ নামে জহুরুল আলম জসিমের এক অনুসারি বলেন, আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। উল্টো জসিম ভাইকে আটক করে নিয়ে গেছে।