চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হওয়ার সাথে সাথে নগর জুড়ে নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে। গত কয়েকদিনের চেনা পরিবেশ বদলে গেছে। থেমে গেছে সব ধরনের কোলাহল, স্লোগান ও মাইকিং। তবে অলি-গলিতে জটলা পাকিয়ে নির্বাচনী আলোচনা ঠিকই চলছে। আর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হলেও অনলাইনে সক্রিয় আছেন প্রার্থীগণ। সংঘাত এড়াতে রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান চোখে পড়েছে। এদিকে নির্বাচনের জন্য প্রচুর গাড়ি রিকুইজিশন করায় নগরীতে গতকাল সন্ধ্যায গণপরিবহনের সংকট দেখা দেয়। এর ফলে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।
এদিকে চসিক নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাস এবং রিকশা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিএমপি। সোমবার রাতে সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। নির্বাচনের জন্য গণপরিবহন রিকুইজিশন করার কারণে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদিও পুলিশ বলছে, তারা নিরুপায়। রিকুইজিশনের কারণে নগরে গণপরিবহন সংকট দেখা দেয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গাড়ির জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখে গেছে। অনেককে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে প্রার্থীরা এখন প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট, টুইটারসহ নানা মাধ্যম করছেন। পোস্টার, ভিডিও, ব্যানারসহ নানা উপায়ে তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ফেসবুক পেইজে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার জনসংযোগের ভিডিও ও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী গণসংযোগ ও চট্টগ্রাম নিয়ে তাঁর পরিকল্পনারও বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেখানে।
বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষেও ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। তার নামে তৈরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। ইশতেহারটি তৈরির ক্ষেত্রে অনলাইনে ভোটারদের মতামত ও পরামর্শও নেওয়া হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সমর্থকরাও তাদের ফেসবুক পেইজে হাত পাখা মার্কায় ভোট চেয়ে ছবি, পোস্টার ও ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া কাউন্সিলরবৃন্দও অনলাইনে সোচ্চার।