চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গতকাল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বহদ্দার হাটসহ আশপাশের এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রচারণা শেষে তিনি বিভিন্ন সংগঠন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে ব্রিফিং এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এসময় তার কাছে শাহদাতের নির্বাচনী এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা কাদের এজেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছি তা যেমন কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ করিনি, তেমনি বিএনপি কাদের এজেন্ট হিসেবে রাখছে তাও কেউ জানে না। তাহলে কিভাবে তাদের এজেন্টদের হয়রানি করা হচ্ছে? তিনি আরো বলেন, যদি কারো বিরুদ্ধে মামলা থাকে কিংবা ওয়ারেন্ট তাকে তাহলে প্রশাসন তাকে খুঁজলে বা গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ নিলে সেটা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটি করতেই পারে। এখানে আপনার আমার কোনো হাত নেই, আপত্তিও নেই। বিএনপি মূলত জনসমর্থন হারিয়ে, জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে অজুহাত ও নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপি আসলেই কোনো এজেন্ট দিচ্ছে কিনা কিংবা আদৌ নির্বাচন করতে চায় কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। গণসংযোগকালে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহনগর আ. লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, কৃষক লীগের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি সফর আলী।