দেশের সিংহভাগ মানুষ তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে গণপরিবহন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই গণপরিবহনগুলোই হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের অপমৃত্যুর কারণ। বর্তমানে দেশে অধিকাংশ পাবলিক বাসগুলো মাঝ সড়ক থেকে ঝুঁকি নিয়ে যেমন গাড়িতে যাত্রী তুলছে তার চেয়ে দ্বিগুণ ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত অবস্থায় যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। এসব বেশিরভাগ গণপরিবহনের চালকের অজ্ঞতা-অদক্ষতা, হরহামেশা ওভারটেকিং, অতিরিক্ত গতি, অহেতুক পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, ফিটনেসবিহীন যান চালানো, যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা ইত্যাদি নানান কারণে সড়কে দুর্ঘটনা থামছেই না। এছাড়া ব্যক্তি সচেতনতার অভাবেও ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন দেশে কোন না কোন জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুর মিছিল দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ’র হিসাব মতে, প্রতিদিন সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ৩০ জন।
এতে গণপরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। সড়কে দুর্ঘটনা রোধে এসব পরিবহনের গাড়িচালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সরকারি অনেক নির্দেশনা দেয়া হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন তেমন চোখে পড়ে না, নেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ। দেশের জনগণের একটি বড় অংশ সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে থাকে। সড়কে মৃত্যু ঠেকাতে শুধু রাষ্ট্রের একার নয়, জনগণেরও বড় ভূমিকা রাখা দরকার। সেই সাথে দেশের সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনা রোধে ব্যক্তি সচেতনতা বৃদ্ধি ও দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাস্তবায়ন জরুরি।
– আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ