শেষ মুর্হূতে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর মাত্র ৪দিন পরেই বহুল কাঙ্ক্ষিত চসিক নির্বাচন। করোনাকালীন হলেও চসিক নির্বাচন একেবারে শেষ মুহূর্তে এসেই যেন উৎসবমুখর হয়ে উঠল। শেষ বেলায় মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৭ মেয়র প্রার্থী এবং ২৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা দিন-রাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এবার শুধু মিছিল শ্লোগানেই থেমে থাকেননি প্রার্থী এবং কর্মী সমর্থকরা; ভোটারদের মন জয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত করেছেন ভিন্ন আবহ। জনপ্রিয় শিল্পীদের কণ্ঠে মনমাতানো গানে গানে প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে অলি-গলি-রাজপথ পর্যন্ত। নিজের নামের সাথে প্রতীকসহ যুক্ত করে সাউন্ড বক্সে ব্যান্ড সংগীতের তালে তালে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। এই ধরনের প্রচারণায় ভোটাররাও বেশ আনন্দ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন নিজেদের কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনী আচরণবিধিতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার সময়সীমা দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা হলেও প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অনেক সময় নির্বাচনী আইন মানা সম্ভব হচ্ছে না। প্রচারণা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত।
শুরু থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে সহাবস্থানে থাকলেও শেষ বেলায় এসে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।
অনেকটা অস্থির হয়ে উঠেছেন প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা। যার কারণে দিন দিন নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসব আমেজ যুক্ত হলেও দ্বন্দ্ব সংঘাতের আশংকাও বেড়েছে।
নির্বাচনী পরিবেশ এবং প্রার্থীদের উৎসবমুখর প্রচারণার ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানির্ং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, আমরা চাই- প্রার্থীরা সহনশীল পরিবেশ নির্বাচনী প্রচারণা চালান। প্রার্থীদের জন্য আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো নির্বাচনী পরিবেশ খুব ভালোই যাচ্ছে। আশা করছি সামনে যে কয়েকদিন নির্বাচনের বাকি আছে সেইদিনগুলোও বেশ ভালো যাবে এবং ২৭ জানুয়ারি একটি সুষ্ঠু-সুন্দর গ্রহণযোগ্য পরিবেশে নির্বাচন হবে।