পটিয়া পৌর সদরের বাহুলী এলাকার শহীদুল ইসলাম (৩১) নামে এক যুবলীগ নেতাকে প্রতারণা মামলায় জেলে পাঠিয়েছেন পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। শহীদ পটিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তিনি বাহুলী এলাকার মোঃ ইউসুফ বাদশার পুত্র। গত বুধবার দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলামসহ চার আসামি প্রতারণা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত শহীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে একই মামলার দুই নং আসামি আরমান সিকদার প্রকাশ মাহমুদুল হক সিকদার জামিনে এসে মামলার বাদী মো: খোরশেদ আলম ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খোরশেদ আলম পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পটিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বাহুলী এলাকার মোঃ ইউসুফ বাদশার ছেলে শহীদুল ইসলাম জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষ খোরশেদ আলমের বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভুক্তভোগী খোরশেদুল আলম গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শহীদুল ইসলামসহ ৪ জনকে আসামি করে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ ইনভেস্টিগশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে শুনানি শেষে ৪ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বুধবার সকালে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ বিচারক শহীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপর ৩ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ফোরকান বলেন, ‘আসামিরা আদালতে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় আত্মসমর্পন করলে আদালত শহীদুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।’