চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন : ভাবতে হবে প্রার্থী নির্বাচিত করার আগে

তাওহীদুল ইসলাম নূরী | শুক্রবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানান কৌশলে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণ উদ্দীপনার পাশাপাশি দ্বিধান্বিত হচ্ছেন কাকে বাদ দিয়ে কাকে নির্বাচিত করবেন। কারণ প্রতিটি মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহার দেখে মনে হয় মানে-গুণে, নেতৃত্বে-মেধায়, নীতি-নৈতিকতায়, জ্ঞান-অভিজ্ঞতায় সকলেই কেউ কারও চেয়ে কম নয়। অথচ, কারো প্রতিশ্রুতিই শতভাগ দূরের কথা তিন ভাগের দুই ভাগও বাস্তবায়নযোগ্য কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অনেকের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অন্যদিকে, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই নির্বাচনী সংঘাতে অসংখ্য আহতের পাশাপাশি ৩ জনের মৃত্যু ও হয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (র.) এর ইন্তেকালের নয় মাস পর একজন সাহাবী তাঁকে স্বপ্নে দেখেন। সাহাবী দেখেন যে, উমর (র.) খুবই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে চলছেন। তাঁকে এত ব্যস্ত দেখাচ্ছিল যে, তিনি ঐ সাহাবির সাথে কোন কথাই বলতে পারছিলেন না। এতটা ব্যস্ততা দেখে সাহাবী তাঁকে “আপনাকে তো দুনিয়াতে এত ব্যস্ত থাকতে দেখতাম না। আপনাকে এত পেরেশান মনে হচ্ছে কেন? ” প্রশ্ন করলে উমর ফারুক (র.) উত্তরে বলেন যে, “আমি এখনো রাষ্ট্রের দায়িত্বপালনের হিসাব আল্লাহকে বুঝিয়ে দিতে পারি নাই। এখনো সেই ক্ষমতার হিসাব দিচ্ছি “। আসলে মেয়র, কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধি হিসেবে কারও দায়িত্বই ছোট নয়। প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বের জন্য আল্লাহর দরবারে একাকী জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। মানুষ তো আছেই, আওতাধীন প্রতিটি প্রাণীর জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইন প্রণয়ন শুধু নয়, সেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়নও করতে হয় একজন জনপ্রতিনিধিকে। জগদ্বিখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক হযরত উমর ফারুক (র.) যেমনটা বলেছিলেন “আমার রাষ্ট্রের কোন মানুষ তো দূরের কথা, একটা কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় আল্লাহর দরবারে আমাকে সেটা নিয়ে জবাবদিহিতা করতে হবে “।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেন না
পরবর্তী নিবন্ধসাধারণের ভেতর থাকে অসাধারণত্বের আনন্দ