চট্টগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে হাটহাজারী থানার অন্তর্গত শিকারপুর এবং বুড়িশ্চর ইউনিয়ন। এই দুই ইউনিয়নের মধ্যস্থলে অবস্থান নজুমিঞাহাটের। শত বছর পূর্ব থেকে এই দুই ইউনিয়নের জনগণ বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নিজ দেশের অর্থনীতি সচলে প্রাণান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আমাদের জানা মতে তারা ইরান, ইরাক, বার্মার রেঙ্গুন, ভারতের আসাম এবং মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন ও ওমানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত অবস্থায় আছেন। এই দুই ইউনিয়নের এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যে পরিবারের কেউ না কেউ মধ্যপ্রাচ্য বা দেশের বাইরে অন্য কোন দেশে কর্মরত নাই। এলাকার জীবনমান উন্নয়নে এই দুই ইউনিয়নের প্রবাসীদের অবদান অবশ্যই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে হয়। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে দেশে এবং দেশের বাইরে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। যেহেতু এই দুই ইউনিয়নের জনগণের বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার সুযোগ অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। সেহেতু দুই ইউনিয়নের মধ্যস্থল নজুমিয়াহাট এলাকায় যদি একটি টেকনিকেল ইনস্টিউিট প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে ভাল চাকুরিতে সুযোগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারে কার্যকর ভূমিকা রাখার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এই ধরনের একটি মহতী কাজে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, এলাকার কৃতীসন্তান এম.এ সালামের কার্যকরী উদ্যোগের প্রত্যাশা এলাকার জনগণের।
শেখ মোজাফফর আহমদ, ফোররখ সেন্টার, নজুমিয়াহাট, চট্টগ্রাম।