চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে ৬ ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে মাত্র ১৫শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল নগরীর ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১০, ১৩, ১২, ২৩, ২৪, ১৬, ২০, ৩২, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান চালানো হয়। ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নাছির এবং মো. আলমগীরের দুইজন কর্মীকে এই জরিমানা (অর্থদণ্ড) করেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ। অন্যসব অভিযানে মুচলেকা, সতর্ক ও পোস্টার অপসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নগরীর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের এক কর্মী, পানিরকল, বউবাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী সামসুল আলমের এক কর্মী সিএনজির গায়ে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোখে ধরা পড়লে দুই কর্মী থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম। পাশাপাশি পোস্টারে দলীয় মনোনীত লেখা থাকায় এসব পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা দেন তিনি।
নগরীর ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সিএনজিতে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণার অভিযোগে দুই প্রার্থীর কর্মীকে ১৫শ টাকা জরিমানা করেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ। মাইজপাড়া জালালিয়া ভোটকেন্দ্রে বিপজ্জনক আকারে স্থাপন করা তোরণ অপসারণ করেন তিনি। একইভাবে যানবাহনে পোস্টার সাঁটিয়ে মাইকিং করার অভিযোগে প্রার্থীকে ফোনে সতর্ক করেন তিনি।
৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জহরলাল হাযারীর আওয়ামী লীগ মনোনিত লেখা ব্যানার পোস্টার অপসারণ করার নির্দেশ দেন সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়। বৌদ্ধ মন্দির থেকে কোতোয়ালি থানা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধ ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করা হয়।
১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত আচরণবিধি না মেনে লাগানো ব্যানার ও পোস্টার নামিয়ে ফেলেন এবং প্রার্থীদের মোবাইলে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। একইভাবে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক, ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্্েরট রেজওয়ানা আফরিন অভিযান পরিচালনা করেন।