নগরীর বেশ কয়েকটি রুটে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডারে চলাচল করছে ‘এইচ পাওয়ার’ নামের ত্রি-চক্র যান। বিশেষ করে নগরীর কোতোয়ালী থেকে চকবাজার, কাটগড়- কন্ট্রোল মোড়, কাটগড় জহুরুল হক ঘাঁটি হয়ে গুপ্তখাল, কাটগড় থেকে নাজিপাড়া সি বিচ, রাহাত্তারপুল থেকে বড় কবরস্থান হয়ে সোনামিয়া সওদাগর বাড়ি পর্যন্ত চলাচল করে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক এইচ পাওয়ার। ডিজেল চালিত হিসেবে বিআরটিএ থেকে নিবন্ধিত হলেও অবৈধভাবে সিএনজি কনভারশন করে চলাচল করছে এসব যানবাহন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ ও নামধারী শ্রমিক নেতাদের মাসোহারার মাধ্যমে চলে আসছে এসব অবৈধ গাড়ি। আগে নগরীর চকবাজার-আন্দরকিল্লা রুটে প্রায় ২০০টি এইচ পাওয়ার চলাচল করতো। বর্তমানে এসব গাড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে কোতোয়ালী পর্যন্ত চলাচল করছে।
অন্যদিকে কাটগড়- কন্ট্রোল মোড়, কাটগড় জহুরুল হক ঘাঁটি হয়ে গুপ্তখাল, কাটগড় থেকে নাজিরপাড়া সিবিচ পর্যন্ত বিআরটিএ অনুমোদিত ৩টি রুটে একশত এইচ পাওয়ারের রুট পারমিট রয়েছে। কিন্তু এই তিন রুটে চলাচল করছে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কমপক্ষে তিন শতাধিক গাড়ি। এসব গাড়ি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজিও চলে। এসব গাড়ি লাইনে ভর্তির নামে বিআরটিএ নিবন্ধিত গাড়ির ক্ষেত্রে ৫-৬ হাজার টাকা, অনিবন্ধিত গাড়ির ক্ষেত্রে ১০-১২ হাজার টাকা নেয়া হয়। লাইন খরচ নেয়া হয় প্রতিদিন একশ টাকা। আবার পুলিশের খরচ হিসেবে মাসে নেয়া হয় এক হাজার টাকা।
নগর ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, নগরীর মূল সড়কগুলোতে অবৈধ গাড়ি চলাচলের তেমন একটা সুযোগ নেই। বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন ও রুট পারমিট নিয়ে যেগুলো চলে সেগুলো বন্ধ করারও সুযোগ নেই। তবে নিবন্ধনের শর্ত ভঙ্গ করে কোন গাড়ি চলাচল করলে সেগুলোর বিরুদ্ধে মোটর যান আইনে মামলা দেয়ার সুযোগ রয়েছে।