‘ভাই মাদরাসার উন্নয়নের জন্য কিছু সাহায্য করেন’ – এমন একটি বাক্য বাস বা ট্রেন ভ্রমণের সময় আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। মূলত মসজিদ, মাদরাসা কিংবা এতিমখানার উন্নয়নের জন্য অনেক সময় সাহায্য সংগ্রহ চাওয়া হয়ে থাকে এবং সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু আজকাল একদল ভন্ড ধর্মব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের এই ধর্মানুভূতিকে পুঁজি করে দেদারসে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সমপ্রতি আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ভৈরবের উদ্দেশ্যে তিতাস ট্রেনে ভ্রমণ করি। যাত্রাপথে ট্রেনের বগিতে পায়জামা পাঞ্জাবি পরিহিত জনৈক এক ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষক দাবি করে মাদরাসার উন্নয়নের জন্য সাহায্য চায়। দীর্ঘদিন ধরে অনেকের কাছে মসজিদ-মাদরাসার নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ শুনে আসছিলাম। তাই পরখ করার জন্য এক পর্যায়ে আমরা উনাকে মাদরাসার নাম বলতে বলি ও সাহায্য গ্রহণ সাপেক্ষে টাকা গ্রহণের রশিদ দিতে বলি।
উনি রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হন এবং অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে ট্রেনে থাকা বাকি সবাই উনার ভণ্ডামি ধরে ফেললে দ্রুত পরের স্টেশনে নেমে যান। পুরো এই ব্যাপারটিতে বগির গার্ড নির্বিকারভাবে তাকিয়ে ছিলেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে এভাবে একদল চক্র সাধারণ মানুষের সাথে যে প্রতারণা করে যাচ্ছে এর শেষ কোথায়? বাংলাদেশের আর কোথাও যেনো এভাবে ধর্মের নামে চাঁদাবাজি না করতে পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুশফিকুর রহমান ইমন, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়