দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে। এখন দেশের কিছু কিছু মানুষ কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি হাকিয়ে চলে। মন্ত্রী, এমপিদেরও সম্পদের অভাব নেই। তারা একেকজন কোটিপতি। নির্বাচনে যে সব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেই কোটিপতি। অবশ্য তারা ছাড়াও দেশে এখন হাজার হাজার মানুষ কোটিপতি হয়েছেন দেশের সম্পদ নানাভাবে হাতিয়ে নিয়ে। তাদের অনেকেই এমন গাড়িতে চড়েন যার মূল্য কোটি টাকার উপরে। বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে চড়েন। এমন ব্র্যান্ডের গাড়ি নিয়ে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়। উন্নত বিশ্বের কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে বাংলাদেশের এসব ধনীদের বলে থাকেন গরীব দেশের বড় লোক। তাদের একথা একেবারে উড়িয়ে দেখা যায় না। এর কারণ একটি শ্রেণি বিপুলবিত্ত-বৈভবের মালিক হলেও সার্বিকভাবে দেশের মানুষ আনুপাতিকহারে বিত্তবান হতে পারেনি। সমাজতন্ত্রবাদীরা বলতে পারেন দরিদ্রদের শোষণ করে তারা ধনী হয়েছেন। তবে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য অস্বাভাবিক হলেও দেশের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে উল্লেখ করার মতো। এক শ্রেণির মানুষের লুটপাট এবং চুরির মধ্যেও দেশ এগিয়ে চলেছে। অবশ্য এসব লুটপাট ও চুরি যদি না হতো এবং টাকা পাচার না হতো তবে উন্নতিটা আরও বেশি চোখে পড়তো।
– এম.এ. গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।