চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন নুরুল আবছার। দৈনিক আজাদীকে নির্বাচনী ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে নিজেকে সাবেক একজন নিবেদিত ও সফল কাউন্সিলর দাবি করে এবার আবার নির্বাচিত হলে দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডকে আধুনিক করে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজাদী : আপনি কাউন্সিলর থাকাকালে এলাকাবাসীর জন্য কী করেছেন ?
নুরুল আবছার : ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকাকালীন এলাকার রাস্তা-ঘাট ও শান্তি-শৃঙ্খলার উন্নয়নে যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলাম তা এখনও এলাকাবাসীর কাছে দৃশ্যমান। পরবর্তীতে অন্য কাউন্সিলর শুধু আমার নেয়া প্রকল্পগুলোই বাস্তবায়ন করেছেন।
আজাদী : আবার নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর জন্য কী কী করবেন বলে ভাবছেন ?
নুরুল আবছার : আমি আবার এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করব। সেইসাথে এলাকাবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদনে আন্তরিক প্রচেষ্টা বজায় রাখব। আমাদের ওয়ার্ডকে একটি যুগোপযুগী ও আধুনিক ওয়ার্ডে পরিণত করতে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে।
আজাদী : আপনার ওয়ার্ডের জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
নুরুল আবছার : আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এ ওয়ার্ডের জনগণের জন্য আমার বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যাতে তাদের জীবনযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়। সেগুলোর মধ্যে আছে ওয়ার্ড কার্যালয়ের নতুন ভবন, কলেজ এবং দাতব্য চিকিৎসালয় ও হাসপাতাল নির্মাণ। তাছাড়া এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান সহ এলাকার জনগণের জন্য সুপেয় পানীয়জলের অভাব মিটাতে ওয়াসার মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও আছে। অসমাপ্ত কাঁচা রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নাগরিকের সুবিধাপ্রাপ্তিতে যাতে কোনো ধরণের হয়রানি বা দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর থাকবে।
আজাদী : নির্বাচনে জয় লাভের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী ?
নুরুল আবছার : আমার ওয়ার্ডের জনগণ আগে যেমন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন তেমনি এবারও আমাকে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে তারা আমাকে আবারও নির্বাচিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি আমার সময়ের উন্নয়নের ধারায় ফিরতে এবং নাগরিক অধিকার সম্বলিত একটি ওয়ার্ড পেতে তারা আমাকে আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন।