বাংলাদেশের প্রশংসনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখতে চান বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ। এজন্য বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিবেচনা করবেন তিনি। সম্প্রতি বেলজিয়ামে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্ রাজপ্রাসাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজার কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাংলানিউজের।
বেলজিয়ামের রাজা রাষ্ট্রদূত সালেহর কাছ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত অগ্রগতিসহ বাংলাদেশের অন্য অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে শোনেন। রাজা ফিলিপ ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সফরের বিষয়টি স্মরণ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সালেহ্ বেলজিয়ামের রাজার কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, রাজা দম্পতি তাদের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করলে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে রাজা দম্পতির সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে এবং দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে। রাজা ফিলিপ বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত সালেহ্ এসময় দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং বাংলাদেশের কয়েকটি সম্ভাবনাময় খাত যেমন- ওষুধশিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিল্পে বেলজিয়ামের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত সালেহ্ রাজা ফিলিপকে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন এবং ২০১৯-২০ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে এ বিষয়ে বেলজিয়ামের সহযোগিতামূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বেলজিয়ামসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের মিয়ানমারের উপর অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করাসহ অন্য কার্যকরী ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী এবং প্রথম সচিব ফখরুদ্দিন আহামেদ রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।