বাকলিয়ায় টহল পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছে যাত্রীবেশি দুই ছিনতাইকারী। গত বুধবার রাতে তাদের কালামিয়া বাজার লিজা গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. রাজিব (২৫) ও নুরন্নবী শেখ (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন। গ্রেপ্তার হওয়া রাজিব মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মো. রুবেল শেখের পুত্র এবং নুরন্নবী শেখ গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকার আকরাম শেখের পুত্র। তাদের নামে নগরীতে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাকলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, নগরীর চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটর পার্টসের দোকানে চাকরি করে ছিনতাইকারী রাজিব ও নুরন্নবী। দিনে তারা চাকরি করলেও সন্ধ্যার পর যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ে নেমে পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারীরা প্রথমে যাত্রী বেশে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে। চলন্ত পথে নির্জন স্থানে। চলন্ত অবস্থায় সিএনজি চালককে বিষাক্ত স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। স্প্রের বিষক্রিয়ায় চালক অস্বস্তিবোধ করে গাড়ি থামালে তারা চালকের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় এবং গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। বুধবার একই কায়দায় তারা অটোরিকশা ভাড়া করে কালামিয়া বাজার ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তারা সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. এমরানকে পিছন থেকে বিষাক্ত জলীয় পদার্থ স্প্রে করে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। চালক এমরান স্প্রে করার কারণ জানতে চাইলে ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়ি থামাতে বলে। এসময় চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে লিজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাখেন। সিএনজি অটোরিকশার বাইর থেকে হুক লাগানো ছিলো বিধায় ভিতর থেকে ছিনতাইকারীরা চিৎকার চেঁচামেচি ও গ্রিল ধরে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এসময় কাছ দিয়ে বাকলিয়া থানা পুলিশের টহলটিম ঘটনাটি দেখে এগিয়ে আসে। পুলিশ চালকের কাছ থেকে ঘটনা জেনে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। বিষাক্ত স্প্রের কারণে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা চালক মো. এমরানকে প্রথমে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশাতে উঠে নির্জন স্থানে গেলে চালককে লক্ষ্য করে বিষাক্ত স্প্রে করে। এসময় চালক গাড়ি থামালে তারা অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে উপস্থাপন করে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আমরা চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।