মাদক ও সন্ত্রাসকে ছাড় দেবেন না পাহাড়তলীর জাহাঙ্গীর আলম দুলাল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আবারো নির্বাচন করছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (দুলাল)। দৈনিক আজাদীর সাথে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে পাহাড়তলীতে মাদক ও সন্ত্রাসকে ছাড় দেবেন না।
আজাদী : আবার নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর জন্য কী কী করবেন বলে ভাবছেন ?
মো. জাহাঙ্গীর আলম (দুলাল) : এবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আমার প্রথম পদক্ষেপ হবে মাদকের বিরুদ্ধে। কারণ মাদকের জন্য চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস থেকে শুরু করে খুন পর্যন্ত হয়। মাদকের ব্যাপারে আমি একভাগও ছাড় দেব না। যুদ্ধ ঘোষণা করব। মাদক কমে গেলে আমি মনে করি সন্ত্রাসও কমে যাবে। এলাকায় প্রকাশ্যে ও নীরব চাঁদাবাজি চলছে। আমার উদ্যোগ থাকবে সেগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে। এ এলাকায় অনেক উর্দুভাষী লোক বাস করেন। তাদের জায়গা, পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা আছে। আমি চেষ্টা করব সেই সমস্যাগুলো যাতে সমাধান করা যায়। মোট কথা আমি আমার ওয়ার্ডকে গ্রিন, ক্লিন এবং হেলদি ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আজাদী : এলাকাবাসীর জন্য কী কী করেছেন?
দুলাল : এলাকায় খেটে খাওয়া, দিনমজুর, নিম্নবিত্ত ও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। করোনাকালীন নিজের উদ্যোগে এলাকাবাসীর মাঝে খাদ্যসামগ্রী সহ নানা উপহার বিলি করেছি। বিরোধী দলের বলে কোনো ধরণের সরকারি সহায়তা পায়নি। নিজ উদ্যোগেই এলাকায় প্রচুর জীবাণুনাশক ছিটিয়েছি, প্রচারপত্র বিলি করেছি, এলাকাবাসীকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছি।
আজাদী : জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আপনার ভূমিকা কী হবে ?
দুলাল : এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতার জন্য বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা নালা-নর্দমায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে সেগুলোকে ভরাট করে ফেলার কারণে বৃষ্টি হলে সেগুলোতে পানি চলাচল করতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
আরেকটি বিষয় হলো আমাদের ওয়ার্ডের নালার সাথে পাশের শুলকবহর ওয়ার্ডের নালার একটি সংযোগ আছে। যদি দুই ওয়ার্ডের সাথে সমন্বয় করে নালাটিকে সম্প্রসারণ করা যায় তাহলে বর্ষাকালে জাকির হোসেন রোডে পেট্রোল পাম্পের সামনে যে পানি জমে তা আর জমবে না।
এলাকার ক্রীড়া ও শিক্ষার উন্নয়নে কী করার পরিকল্পনা আছে?
আমাদের ওয়ার্ডটিতে যেহেতু রেলওয়ের জায়গা বেশি তাই নগরীর অন্যান্য এলাকায় খেলার মাঠের অভাব থাকলেও এ ওয়ার্ডে আছে ১০ থেকে ১৫টি খেলার মাঠ। আমি সেই মাঠগুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি ওয়াকওয়ে তৈরি করব যাতে জনগণ বিকালে হাঁটতে পারেন। আমি মনে করি কিশোর-তরুণদের যদি ক্রীড়ামুখী করা যায় তাহলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি অনেকটাই কমে যাবে।
তাছাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি পাঠাগার গড়ার চিন্তাও আছে। পথশিশুদের বিনামূল্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা আমি করব।
নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে মনে করি এ সরকার মানুষকে ভোটবিমুখ করে ফেলেছে। মানুষ মনে করে ‘ভোট তো আগেই দেয়া হয়ে গেছে তাহলে আর ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাভ কী?’ আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যত জায়গায় গিয়েছি সব জায়গাতেই মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছি। এলাকার মানুষ মনে করে এ ওয়ার্ডটি বিএনপির একটি দুর্গ। আমার ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আমি জেতার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তাই আমি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে বিনীত অনুরোধ জানাব ভোটাররা যাতে সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারেন আপনারা সেই ব্যবস্থা করুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দরকিল্লার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চান জহরলাল হাজারী
পরবর্তী নিবন্ধবিদেশে কার কার বিলাসি ফ্ল্যাট-বাড়ি তালাশ করছে দুদক