বঙ্গবন্ধু কাপ এবং প্রেসিডেন্টস কাপে খুব বেশি ভাল করতে পারেননি মিরাজ। তবে নিজের আত্নবিশ্বাস ফিরে পেতে দারুন ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। অনুশীলনে তিনি ঝালাই করে নিচ্ছেন নিজের লাইন এবং লেংথ। ক্যারিবিয়ানদের সামনে পেয়ে বোলিংয়ের ঘাটতিটুকু পূরণ করে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেমে যেতে প্রস্তুত মিরাজ। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতে এই অফ স্পিনার নিতে পেরেছেন কেবল ৬ উইকেট। পাঁচটিতেই ছিলেন উইকেটশূন্য। মাঠের এই বিবর্ণ চেহারা ছাপ ফেলেছে তার মনেও। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই তার রেকর্ড সবচেয়ে ভালো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ টেস্টে ২৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। দেশে রেকর্ড আরও ভালো। ২ টেস্টে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও তার সবচেয়ে বেশি শিকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১০ ওয়ানডেতে ১২ উইকেট। তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৮ ম্যাচে মিরাজের উইকেট ২২টি। রেকর্ড মিরাজের পক্ষে থাকলেও ঘাড়ে নতুনদের নিঃশ্বাস ঠিকই টের পাচ্ছেন তিনি। দলে জায়গা পোক্ত করার জন্য ভালো পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই বলে জানালেন এই স্পিনার। তবে ভরসা পাচ্ছেন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলেই।
গতকাল বুধবার অনুশীলনের পর মিরাজ জানান সাফল্যময় অতীতের কারণেই এবার নিজের সমীকরণ মেলানোর জোর সাহস তিনি পাচ্ছেন। শেষ তিন-চারটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ অতটা ভালো করতে পারিনি। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসছে, আমার জন্য একটা বাড়তি সুবিধা থাকবে। আমার অবশ্যই ভালো অনুভূতি থাকবে যে, এখানে যদি ভালো করতে পারি, তাহলে নিজেকে ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পাব। এটাই চেষ্টা করব। নিজের পারফরম্যান্স ভালো করার জন্য এবং দিনশেষে দল যেন ভালো ফল করে। দুই দলের সবশেষ টেস্টে ১২ উইকেট নিয়ে বলতে গেলে একাই সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফেরায় আবারও সেটির পুনরাবৃত্তির সুযোগ তাদের সামনে। মহামারীকালে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবকে নিয়ে ফিরতে পারাটা বাড়তি খুশির উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে মিরাজদের মনে। বিশেষ করে আমাদের সাকিব দলে ফিরেছেন। এক বছর তিনি বাইরে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে যে দীর্ঘদিন খেলা হয়নি এটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। আমি মনে করি যে, আমাদের দল খুব ভালো অবস্থানে আছে। আশা করি আমরা সেখানে ভালো কিছু করতে পারব।