পতেঙ্গা সৈকতে বিচারকের ওপর হামলার ঘটনায় হাজী ইকবালের ছেলে ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে ওই বিচারকসহ চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে দুই ঘন্টার অধিক সময় ধরে এ সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হানিফ আজাদীকে জানান, নির্ধারিত দিনে আদালতে হামলার শিকার বিচারকসহ চারজনের জবানবন্দি রেকর্ড গ্রহণ হয়েছে। এর আগে গত ধার্য্য তারিখে একজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী ১৪ জানুয়ারি মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য্য রয়েছে বলে জানান বেঞ্চ সহকারী।
এদিকে বিচারকের ওপর হামলায় জড়িত আসামি ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণকালে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা হাজী ইকবালকে। আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এজলাসের বাইরে দাঁড়িয়ে তাকে মামলার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে দেখা গেছে। এসময় অস্থিরতার মধ্যে থাকা হাজী ইকবালকে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করার পাশাপাশি আইনজীবী ও পুলিশ সদস্যদের সাথে দফায় দফায় কথা বলতে দেখা যায়। বিকাল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
গতবছর ৯ ডিসেম্বর বিকালে পতেঙ্গা সাগর পাড়ে আউটার রিং রোড এলাকায় উল্টো পথে দ্রুতগতিতে মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইকবালের ছেলে আলী আকবর ও তার বন্ধু আলী হোসেন প্রকাশ জিসান। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ জহির উদ্দিনের গাড়ির সামনে পড়ে আসামিদের মোটরসাইকেল। এসময় গাড়ি চালক মোটর রেসিং বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। তখন মোটরসাইকেলে থাকা হাজী ইকবালের ছেলে ও তার সহযোগী মিলে চালককে মারধর করলে বিচারক ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এসময় বিচারকও হামলার শিকার হন। পরে ওই ঘটনায় বিচারকের গাড়িচালক রাজু শেখের দায়ের করা মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তারা কারাগারে রয়েছে।