চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে ঘিরে নগরে বাড়ছে সহিংসতা। প্রচারণা শুরুর পর থেকে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন প্রার্থীর কমী-সমর্থকরা। কোথাও এক তরফা হামলারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে অন্তত ১০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যায় পাঠানটুলীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও একই দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন।
এ অবস্থায় আতংক ছড়িয়ে পড়ছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। বাড়ছে রক্তাক্ত নির্বাচনের শঙ্কা। সহিংসতা বন্ধ না হলে ভোটাররা কেন্দ্রমুখি হবেন কী না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। অবশ্য পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা তৎপর। সবধরনের প্রস্তুতিও আছে তাদের।
এ বিষয়ে সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আবদুর রউফ দৈনিক আজাদীকে বলেন, যেখানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে সেখানে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর মধ্যে গত সোমবার বাকলিয়ার বাস্তুহারা ও চান্দগাঁও থানার বারইপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিতদের মধ্যে। বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী নুরুল হকের গণসংযোগের সময় হামলার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ করে বিএনপি। ওইদিন পূর্ব বাকলিয়ায় মাইকিংয়ে ব্যবহৃত সিএনজি ভাঙচুর, বাগমনিরামে পোস্টার লাগানোর সময় এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডা. শাহাদাত হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক।