রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো না গেলে সামনে সমূহ বিপদ

‘বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার’ উৎসব উদ্বোধনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো না গেলে এ দেশের জন্য তারা সমূহ বিপদ ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন রোহিঙ্গারা এ দেশে অবস্থান করলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত হয়ে তারা গড়ে তুলতে পারে সন্ত্রাসী গ্রুপ। আর ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ বিপদ বয়ে আনবে এদেশে। তখন বাদ যাবে না মিয়ানমারও। তাই রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন জরুরি। গতকাল সোমবার দুপুরে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের সাথে একাধিকবার আলোচনায় বসতে চাইলেও বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে তারা। কারণ মিয়ানমার মুখে বললেও, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তরিক নয়। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো গ্লোবাল সমস্যা। আগামী ১৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে বৈঠক রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা যাবে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো বেশি জানার সুযোগ তৈরি হবে। এ উৎসবের মাধ্যমে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো বেশি জানার চেষ্টা করবে। রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ উৎসবের আয়োজন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেন কোন প্রাণহানি না হয় সেজন্য রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ইফতেকুর রহমান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন।
অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে নৌ বিহার, কায়াকিং, ট্রি ট্রেইল/রোপ কোর্স, মাউন্টেইন বাইক, জিপলাইন, হাইকিং ও ট্রেইল রান, ক্যানিওনিং, ট্রেজার হান্ট, টিম বিল্ডিং, টিম অ্যাক্টিভিটি, ট্রেকিং, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও কেভ ডিসকভারি ইভেন্টসমূহ থাকবে। ইতিমধ্যে এ উৎসবের প্রতিযোগী ও অতিথিরা রাঙামাটিতে এসে জড়ো হয়েছেন। উদ্বোধনের পর প্রতিযোগীরা ভাগ হয়ে তিন পার্বত্য জেলায় অংশ নিবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবজির বাম্পার ফলনেও কৃষকদের অসন্তোষ
পরবর্তী নিবন্ধশুরুতে অর্ধেকই থাকবে বয়স্কদের জন্য