নির্বাচিত হলে নগরের ৪১ ওয়ার্ডে আরবান হেলথ সেন্টার গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে আরবান হেলথ সেন্টারগুলো চালু করতে পারলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর কিছুটা হলেও চাপ কমত। তাই আরবান হেলথ সেন্টার ও চাইল্ড কেয়ারগুলো বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে আমার। এ সময় পরিকল্পিত চট্টগ্রাম গড়ার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল রোববার সকালে নগরের পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১১টায় আতুরার ডিপো নুর টাওয়ারের সামনে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। এরপর তুলা কোম্পানি, ঈদগাঁ মোড়, চালিতাতলী বাজার, বোর্ড অফিস, নেজামে হামচা, অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়ক, ওয়াজেদিয়া, হরিপুর, নয়াহাট, ফকিরাবাদ, কয়লারঘর, অক্সিজেন, পাঠানপুর, শহীদ নগর হয়ে বেলতল মোড়ে পথসভা করেন তিনি। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
শাহাদাত অভিযোগ করেন, কথা ছিল সব প্রার্থীর জন্য নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। অথচ দেখা যাচ্ছে সরকারি দলের প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন সেখানে পুলিশ সাপোর্ট দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক সুবিধা পাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০/৩৫টি গাড়ির বহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?
তিনি বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর ও সুষ্টু নির্বাচন। কিন্তু এক পক্ষকে বেশি সুবিধা দিলে এবং অনিয়ম করলে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে অনীহা সৃষ্টি হবে। তাই নির্বাচন কমিশনার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পরিবেশ সৃষ্টি করুন। যেহেতু ইভিএমে ভোট হবে সেহেতু আইডি কার্ড ছাড়া কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সে দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যা, অনিয়ম, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জবাব দিতে ২৭ জানুয়ারি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে তাদের রায় দেবেন।
পথসভায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশম বক্কর বলেন, গণসংযোগ জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, সামছুল আলম, জি এম আইয়ুব খান, আবদুল্লাহ আল হারুন, মো. ইদ্রিস আলী, আবদুল কাদের জসিম, নুরুল ইসলাম সাধু মিয়া, আবদুর রহিম, কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মো. ইলিয়াছ, এস এম আবুল কালাম আবু, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাধু, মো. বেলাল, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু ইউসুফ, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, সেলিম উদ্দীন রাসেল, আবদুল আহাদ রিপন, জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, মোর্শেদুল আলম, খুরশেদ আলম, মো. ইউসুফ, আবসার উদ্দিন, আবুল কালাম আবু, সামছুল আলম মেম্বার, ইসমাইল বালী, সাইফু সওদাগর, আবদুল হালিম কালু, মো. বেলাল সর্দার, নাছিমা আলম, মো. ওসমান, মো. ইসমাইল, মহিউদ্দিন জুয়েল, মনজু আলম, নাজিম উদ্দিন হিরু, এম আর খান ফারুক, মো. হাসান, আনোয়ার হোসেন, রাশেদ খান টিপু, ফিরোজ মাহমুদ, এম এ হাসান বাপ্পা, কাজী মহিউদ্দীন ও মহিউদ্দীন রুবেল।