নানা সংকট ও সম্ভাবনাকে সঙ্গী করেই মানসম্মত ও দর্শক-চাহিদা উপযোগী অনুষ্ঠান নির্মাণ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কার্যক্রম। গতকাল ১০ জানুয়ারি রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ১৮ ঘণ্টা সম্প্রচার শুরু করেছে বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র। উদ্বোধনের সময় থেকে নানা বিতর্ক নিয়ে পথচলা শুরু। বিশেষ করে অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিল্পী, কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে কানাঘুষা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। তবে একটু একটু করে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রে। হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মীয় সমপ্রীতি ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন জাতিসত্তার বহুমাত্রিক জীবনাচার এবং সংস্কৃতি, দেশ তথা সারাবিশ্বে এই চট্টগ্রামকে করেছে স্বতন্ত্র। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার সময় ১৮ ঘণ্টায় উন্নীত হওয়ার পাশাপাশি সারাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে টেরিস্ট্রিয়াল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ২৪ ঘণ্টার অনুষ্ঠান সমপ্রচার করবে চট্টগ্রাম কেন্দ্র – এমন বিশ্বাস নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া এ চ্যানেলটি এখন আবার দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রে নির্মিত অনুষ্ঠানমালা আগের চেয়ে নান্দনিক হয়েছে, এটা দর্শকদেরই অভিমত।
বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য আজাদীকে বলেন, আজ (রোববার) সকাল সাতটা থেকে বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান পরীক্ষামূলকভাবে ১৮ ঘণ্টা সম্প্রচার হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে তিনটা জিনিস উদ্বোধন করবেন। প্রথম হচ্ছে, ১৮ ঘণ্টা সম্প্রচার, দ্বিতীয়ত আমাদের এ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো এতদিন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখা যেত। এখন থেকে টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার হবে। আর তৃতীয়টা হচ্ছে, আমাদের একটা সুদৃশ্য এবং দেশের সবচেয়ে উঁচু অত্যাধুনিক টাওয়ার হয়েছে। এটির উচ্চতা ১৩৩ দশমিক ৫ মিটার। এটি শুধু নান্দনিকই নয়, এই টাওয়ার দিয়ে ১২টি ক্যাবল চ্যানেল ও দুটি টেরিস্ট্রিয়াল চ্যানেল চালাতে পারি। টাওয়ারের পাশে একটি ট্রান্সমিশন বসানো হয়েছে। গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই ট্রান্সমিশন দিয়ে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ টিভি ও চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র সমপ্রচার করা হচ্ছে। এই অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এ তিনটি জিনিস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে। সমস্যা থাকবে, সংকট থাকবে। সে সংকটের সমাধানও হবে। সবকিছু নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাননীয় তথ্যমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। তাঁর আন্তরিক চেষ্টায় বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১৮ ঘণ্টা সম্প্রচার শুরু করেছে। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র একদিন সব চ্যানেলকে ছাড়িয়ে যাবে।
বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ইতিহাস বিশ্বময় তুলে ধরার প্রয়াসে চট্টগ্রামে একটি সমপ্রচার মাধ্যম প্রতিষ্ঠা ছিল এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। আর এ দাবি পূরণ হয় ১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর। এদিন চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি নতুন পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপিত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৯৬ সালে উদ্বোধনের পর স্বল্প পরিসরে দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠান সমপ্রচারের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র। দীর্ঘ পথচলায় ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৬ ঘণ্টার স্যাটেলাইট সমপ্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রটির সমপ্রচার সময় ৬ ঘণ্টা থেকে ৯ ঘণ্টায় উন্নীত হয় ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল এবং এই কেন্দ্রের সমপ্রচার সময় ১২ ঘণ্টায় উন্নীত হয় ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি।
জিএম নিতাই কুমার ভট্টাচার্য জানান, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সমপ্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বহির্বিশ্বেও। ইতিমধ্যে টাওয়ারের কাজ শেষ হওয়ায় চট্টগ্রামের মত সারাদেশে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র টেরিস্ট্রিয়াল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এদিকে খবর, সংগীতানুষ্ঠান, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, টকশোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে বেড়েছে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জনপ্রিয়তা। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে অনুষ্ঠান পরিচালনা, পরিবেশনা ও গুণী প্রতিভার খোঁজে দীর্ঘ ২১ বছর পর পুনরায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য আধুনিক সংগীত, লোকগীতি, উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী, উপস্থাপক-উপস্থাপিকা, সংবাদ পাঠক-পাঠিকার খোঁজে হয়েছে অডিশন কার্যক্রম। যা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ বলে দাবি করেন জিএম নিতাই কুমার ভট্টাচার্য।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে নিতাই কুমার ভট্টাচার্য আরও বলেন, আগে শুধু বাংলা সংবাদ বুলেটিন প্রচার হলেও গত বছর ১৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ইংরেজি বুলেটিন প্রচার হচ্ছে।
চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বড় একটা অর্জন হলো জাতীয় স্কুল টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ৪৮টি দল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি চট্টগ্রামের। বাকি দলগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অংশ নিয়েছে। ভবিষ্যতে কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অনুষ্ঠান, নাটক, গানের অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য বিষয়কে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বিটিভির দর্শক সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে উন্নয়ন চলতে থাকলে দেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বেও বিটিভি সমাদৃত হবে।
চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের জিএম নিতাই কুমার আরো বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, চট্টগ্রাম তথা দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য-সংগীতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা। এক সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রে কোনো নাটক প্রচার করা হতো না। চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রে এই প্রথম মঞ্চনাটক করেছি। স্থানীয় নাট্যদলের অভিনীত ৫০টির মতো মঞ্চনাটক প্রচার করা হয়েছে। আমি যোগদান করার পর ৫০টির মতো সাপ্তাহিক নাটক প্রচার হয়েছে। এ ছাড়া ১৫টি ধারাবাহিক নাটক করেছি, যাত্রা করেছি। অনুষ্ঠানের আঙ্গিকেও বিশেষ করে গানের অনুষ্ঠানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেটেও ব্যাপক উন্নতি এসেছে। এমনকি ঢাকার শিল্পীরাও বলছেন, চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের সেটে অনুষ্ঠানের মান ঢাকার বিভিন্ন চ্যানেলের চেয়েও উন্নত হয়েছে। এই বিচারের ভার অবশ্য দর্শকের ওপর।
শিল্পীদের অনুষ্ঠান বণ্টনে নীতিমালা পুরোপুরি মানা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্পীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। সে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রতি প্রান্তিকে (তিন মাস) যে ক্যাটাগরির শিল্পীর যতটা অনুষ্ঠান পাওয়ার কথা তারা সেটা পাচ্ছেন। এখন সবকিছু হচ্ছে নিয়ম মেনে। বাংলাদেশে টেলিভিশনের নিয়ম অনুসরণ করে তালিকাভুক্ত শিল্পীদের অনুষ্ঠান দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে বন্দরনগরীকে কিভাবে বিশ্ব দরবারে আরও বিশদ পরিসরে, নান্দনিক আয়োজনে তুলে ধরা যায়, সেই চেষ্টা করব।
চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রসঙ্গে জিএম নিতাই বলেন, আমি যোগদান করার সময় টেলিভিশন কেন্দ্রের অপূর্ব হ্রদটি অনেকটা বদ্ধ ডোবায় পরিণত হয়েছিল। আমি সিটি করপোরেশনের মেয়রের মাধ্যমে এই হ্রদের সংস্কার করেছি। এখন এই হ্রদ অনেকটা বিনোদনকেন্দ্র। টেলিভিশন কেন্দ্রে একটি নান্দনিক ফোয়ারা তৈরি করেছি, ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে। আগে ঢাকার অতিথি এলে তাদের থাকার জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের রেস্ট হাউসে ধরণা দিতে হতো। এখন চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের নিজস্ব রেস্ট হাউস হয়েছে।
আমাদের কিছু সংকট রয়েছে। যেমন, লোকবল, স্টুডিও সংকট। ধীরে ধীরে সেগুলোর সমাধান হচ্ছে। আমাদের স্টুডিও বেড়েছে, গাড়ি এসেছে, লোকবলও বাড়ছে। আশা করি, একবার ২৪ ঘণ্টার সমপ্রচার শুরু হয়ে গেলে সমস্যা বুঝে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশেষ করে তথ্যমন্ত্রী এই চট্টগ্রামেরই কৃতী সন্তান। চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সামনেও তিনি উদ্ভূত সব সমস্যার সমাধান করে চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
চট্টগ্রাম মঞ্চ সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সিনিয়র সহ সভাপতি শিল্পী অজয় চক্রবর্ত্তী বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র দিনে দিনে উন্নতি করছে, উন্নতির সুযোগ আছে আরো। তিনি বলেন, আগে অনুষ্ঠান সমূহ ইনডোরে হতো। এখন আউটডোরেও অনুষ্ঠান হচ্ছে। এতে ভিন্নতা আসছে। তবে ভবিষ্যতের কথা যদি বলি, ১৮ ঘণ্টা/২৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সক্ষমতা এখনো যে তৈরি হয়েছে, তা বলা যাবে না। লোকবল বাড়াতে হবে, ইন্সট্রুমেন্ট আরো বেশি আধুনিক হতে হবে। শুধু অনুষ্ঠান করলাম, ১৮ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা, তা না করে মানের দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে। মানটা কে কন্ট্রোল করবে, তাও ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। মানের দিক থেকে উন্নতি যতদিন না হবে, ততদিন বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠানের প্রতি দর্শক আগ্রহ তৈরি হবে না। তিনি বলেন, আমি গত ২৫ বছরে বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠান করেছি মাত্র দুই বার। আমায় ডাকে না, আমিও যাই না। এ পর্যায়ে এসে কারো কাছে অনুষ্ঠান পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবো, সেটাতো হয় না। তবে আমি আন্তরিক ভাবে চাই, বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদ হাসান আরিফ বলেন, আগে বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেখতাম না। এখন দেখি। কিছু মানসম্মত অনুষ্ঠান হচ্ছে বলেই দেখছি। তবে দর্শক হিসেবে বলতে পারি ১৮ ঘণ্টা অনুষ্ঠান করতে হলে, অনুষ্ঠানে আরো বৈচিত্র্য আনতে হবে। কারণ এখন দেশী বিদেশী মিলিয়ে অনেক চ্যানেল। এই সময়ে দর্শক আটকে রাখতে হলে বেসরকারি চ্যানেলগুলোর সাথে অবশ্যই টেক্কা দিতে হবে। এক্ষেত্রে সেট ডিজাইনে আরেকটু মনোযোগের দাবি রাখে। স্ক্রিনিংটা আরো খানিক ভালো মানের হতে পারে। টেকনিক্যাল সাইট থেকে উন্নতির অনেক সুযোগ আছে, আশা রাখি অচিরেই তা হবে। আরেকটা কথা বলতে চাই, যেহেতু সময়টা বেড়েছে সেহেতু মানের দিকটা খেয়াল রেখে, যোগ্যতার ভিত্তিতে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ থাকবে। বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র আমাদের স্বপ্নের জায়গা। সেই জায়গাটায় যতো বেশি উন্নতি হবে, আমাদের ভালো লাগবে।
নৃত্য নিকেতনের পরিচালক নৃত্য শিল্পী রিয়া দাশ বলেন, বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র একটা মানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, এটা আমরা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি। চট্টগ্রামের কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা এবং আমরা শিল্পীরা যৌথ প্রয়াসে এটিকে একটা স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো। যারা কাজ করছেন, তারা আন্তরিকতার সাথে কাজ করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার হচ্ছে বেশি। সেটিকে আরেকটু কমিয়ে আনা উচিত। শিল্পীদের সম্মানীটাও কিছুটা বাড়ানো উচিত। তাছাড়া যার যোগ্যতা আছে, তাকে আরেকটু বেশি অনুষ্ঠান করার সুযোগ দিতেই পারে।