চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. নুর আলম প্রকাশ নুরু। তিনি নাছিয়াঘোনা এলাকায় তৈরি করেছিলেন সশস্ত্র বাহিনী। তার বাহিনীতে সক্রিয় সদস্য ৫০ থেকে ৬০ জন। তারা নুরুর নির্দেশে তার অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন। নুরুর এই অপরাধ সাম্রাজ্যের শুরু হয় পাহাড় দখলের মাধ্যমে। এরপর অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃত ঘটে।
আজ শনিবার নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, ‘মো. নুর আলম প্রকাশ নুরু ডাকাত একসময় ফয়’জ লেক রিসোর্টে কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে একসময় পাহাড় দখল শুরু করেন তিনি। পরে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে, সেগুলো বিক্রি শুরু করেন। এরপর ফয়’জ লেক, আকবরশাহ কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।’
‘নুরু এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেন। একটি বাহিনীও তৈরি করেন। তার বাহিনীতে সদস্য রয়েছেন ৫০ থেকে ৬০ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আকবরশাহ এলাকায় তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত ছিল’,- বলেন তিনি।-বাংলানিউজ
২০১৪ সালে অস্ত্র আইনে করা মামলায় ২০১৯ সালে ১৭ বছরের সাজা হয় মো. নুর আলম নুরুর। কিন্তু এক বছরেও তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা আকবরশাহ থানায় পৌঁছেনি আদালত থেকে।
এ বিষয়ে উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, অস্ত্র মামলায় জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন নুরু। পরে তার অনুপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আকবরশাহ থানা পুলিশ নুরুর সাজার বিষয়ে জানতো না। বিষয়টি জানাজানির পর তিনদিন আগে নুরুর সাজা পরোয়ানা থানায় পৌঁছে। সাজা পরোয়ানা কেন এক বছরেও থানায় পৌঁছেনি তা নিয়ে তদন্ত চলবে। এর সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবে।
সম্প্রতি নুরুকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তার বাহিনী। পরে অভিযানে নুরুর ১২ সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারলেও অধরা ছিল সে।
অবশেষে মো. নুর আলম নুরু ও তার সহযোগী কাউছারকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির আকবরশাহ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি অস্ত্র, দুইটি কিরিচ, একটি রাম দা ও ৪০০ পিস ইয়াবা।
আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব-ফিরোজশাহ এলাকার নুর আলম প্রকাশ নুরুর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।