দায় স্বীকার করে বন্ধুর জবানবন্দি

ঢাকায় কিশোরীকে ধর্ষণ-হত্যা

| শনিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর কলাবাগানে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলার একমাত্র আসামি তার বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহান (১৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
একটি স্কুলের ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া এই ছাত্রকে গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আদালতে হাজির করেন বলে ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান। তিনি বলেন, আসামি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার খাস কামরায় দিহানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ওই ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দিহানই গুরুতর অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতলে নিয়ে যান। চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় মধ্যরাতে দিহানকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মেয়েটির বাবা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীটির মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। একঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এই মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া দিহান বেলা ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার মেয়েকে কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে। পুলিশের ধারণা, ওই বাসায় ছাত্রীটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুরদাস মালু জানিয়েছিলেন, ওই কিশোর-কিশোরীর দৈহিক সম্পর্ক হওয়ার বিষয়টি তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন। ওই বাসা থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। যেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনজুরুল আহসান খানকে সিপিবি থেকে অব্যাহতি
পরবর্তী নিবন্ধসময়মতো করোনার ভ্যাকসিন আসবে : তথ্যমন্ত্রী