ফটিকছড়িতে পুকুর খননের আবেদন করে রাতে পাহাড় কেটে ট্রাক দিয়ে মাটি পাচার করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না পরিবেশ আইন। উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের তাজুরটিলা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, উত্তর পাইন্দং তাজুর টিলা নামক স্থানে মুসাফির এগ্রো নামক একটি সাইনবোর্ড লাগানো আছে।এর একটু দক্ষিণে রয়েছে স্কেভেটর। প্রায় ৩-৪শ’ ফুট এলাকা জুড়ে ১৫-২০ ফুট গর্ত করে কাটা হয়েছে মাটি।
পাহাড়ের কাটুরিয়া সুলতান (৬৫) জানান, স্কেভেটর দিয়ে রাতেই মাটি কেটে ট্রাকে করে ফটিকছড়ি সদরের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে একটি চক্র। এদিকে সাইন বোর্ডে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দেখা গেছে, ফটিকছড়ি পৌর সদরের আশপাশে অন্তত ৮/১০ স্থানে পাহাড়ি টিলার মাটি দিয়ে জমি, ডোবা ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, রাতের আঁধারে মাটি ফেলা হয়।
এব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, মুসাফির এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নামে জনৈক সাজ্জাদ হোসেন ২০২০ সালের জুন মাসে পতিত জমিতে একটি পুকুর খননের আবেদন করে। সেটি এখনো তদন্তাধীন। কাউকে পাহাড় টিলা কেটে মাটি বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, বন, পরিবেশ ও মাটি কাটা আইনে পাহাড়, টিলা কর্তন করা ফৌজদারী অপরাধ। সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।