হযরত আমানত শাহ (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার বা’দ জুমা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর আন্দরকিল্লাহ, পাথরঘাটা ও ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করবেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চসিক নির্বাচন উপলক্ষে ১৫ থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে নগর বিএনপির মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে চসিক নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। কঠিন হলেও সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এখন সময় শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার। গত ১২ বছর আমরা শুধু সরকারের জুলম নির্যাতন সহ্য করেছি। এখন আর ঘরে থাকার সময় নেই। মামলা হামলা যাই হোক, সাহসিকতার সাথে রাজপথে থাকতে হবে, জনগণকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ধানের শীষের প্রতীককে বিজয়ী করতে পারলে বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ধানের শীষ হচ্ছে গৃহবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীক। আপনারা প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাবেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন। মেয়র পদে ধানের শীষ প্রতীক, কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইবেন। ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মানুষ ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে জাল-জালিয়াতের আশ্রয় নিলে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বান থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের এনআইডি দেখে ঢুকাতে হবে। ভোটকেন্দ্রের ব্যালট প্যানেলের নিরাপত্তা দিতে হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর গায়ে কোনো প্রকার কালিমার চিহ্ন নেই। তিনি নির্বাচিত হলে একটি নিরাপদ স্মার্ট ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আব্দুস সাত্তার সেলিম, মোশারফ হোসেন ঢেপটি, মো. আজম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা নুরুল আবছার, আবদুল্লাহ আল হারুন, সরফরাজ কাদের রাসেল, থানার সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মো. শাহাবুদ্দিন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহমেদ চৌধুরী, শরিফ উদ্দিন খান, মাইন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, নূর হোসাইন, আব্দুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম।