প্রায় ১৪ মাস আগে ‘ইয়াংছা-মানিকপুর-কাকারা-শান্তিবাজার সড়কটির’ নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছিল। সড়কটির নির্মাণব্যয় ধরে ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফেলতির পাশাপাশি সড়কটি নির্দিষ্ট ম্যাপে তৈরি করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতাও ছিল যথেষ্ট। কারণ ১৯ কিলোমিটার এই সড়কটি ১০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৮ ফুট প্রস্থে তৈরি করার শিডিউল রয়েছে। কিন্তু সড়কটির দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানো নিয়ে সড়কটি নির্মাণকাজে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। অবশেষে সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে মাঠে নেমেছেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি। তিনি গত দুইদিন ধরে সশরীরে উপস্থিত থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বুলডোজার দিয়েই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। এ সময় যেসব স্থাপনার ক্ষতি হচ্ছে সেসব পরিবারকে এমপি জাফর আলমের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হচ্ছে। এতে চলতি শুষ্ক মৌসুমেই সড়কটির নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা ভুক্তভোগী দুই লক্ষাধিক মানুষের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির বেশিরভাগ অংশে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও বরইতলী ইউনিয়নে। তন্মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বেগ পেতে হয়েছে কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল অংশে। অবশেষে এমপি জাফর আলমের সহায়তায় সেই অবৈধ স্থাপনা সরানোর কাজ চলমান রয়েছে গত দুইদিন ধরে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তফা দৈনিক আজাদীকে বলেন, এমপি মহোদয়ের সার্বিক সহায়তায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর পুরোদমে সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য জাফর আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা সরাতে সওজ এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ব্যর্থ হওয়ার পর আমি নিজেই উদ্যোগ নিয়েছি সড়কের দুই পাশের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণও দিচ্ছি। যাতে চলতি শুষ্ক মৌসুমে সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় এবং জনদুর্ভোগ লাঘব করা যায়।