সীতাকুণ্ডে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে দুই প্রবাসীর বসতঘরের মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরে অচেতন অবস্থায় চার শিশুসহ ১৪ জনকে সীতাকুণ্ড সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়া গ্রামের খলিল ভূঁইয়া বাড়ির প্রবাসী হেলাল উদ্দিন ও আরাফাতের ঘরে এই ঘটনা ঘটে। তবে তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুদ্দিন রাশেদ। এর আগেও একই ধরনের একাধিক ঘটনায় অনেককে চিকিৎসা দিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে খলিল ভূঁইয়া বাড়ির শওকত হোসেন জানান, এই দুই প্রবাসীর রান্নাঘর মূল ঘর থেকে আলাদা থাকায় চোরেরা খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। চেতনানাশক খাবার খেয়ে শিশু, বৃদ্ধা ও সন্তানসম্ভবা নারীসহ ১৪ জন অজ্ঞান হয়ে যান। আর এতে দুই প্রবাসীর ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। সকাল বেলা বাড়ির অন্যান্য লোকজন এই দুই পরিবারের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে পান তাদের ঘরের দরজা খোলা। সবাই বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। চোরের দল ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, মূূল্যবান জিনিসপত্র, মোবাইলসহ নগদ টাকা নিয়ে গেছে। মুরাদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু তাহের, আলমগীর হোসেন ও স্বপন সওদাগর জানান, এই ইউনিয়নের কোনো না কোনো বাড়িতে প্রতিরাতেই চুরির ঘটনা ঘটছে। অন্যান্য ইউনিয়নে চৌকিদার ও জনপ্রতিনিধিরা রাতে পাহারার ব্যবস্থা করলেও মুরাদপুর ইউনিয়নে সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। ফলে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে।
তবে ১০ জন গ্রাম পুলিশ নিয়মিত পাহারায় নিয়োজিত আছে বলে জানান মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন নিজামী বাবু। তিনি বলেন, পাহারা আরও জোরদার করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিনিধিদের সমন্বয় করে একটা কমিটি গঠন করা হবে। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।