নগরীর আসকারদিঘি এলাকার গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের পাহাড় হিসেবে পরিচিত পাহাড়টি কেটে ফেলা হচ্ছে। নগরীর কয়েকটি বড় পাহাড়ের মধ্যে এটি অন্যতম। তবে এ ব্যাপারে জানে না পরিবেশ অধিদপ্তর।
নগরীর অনেক এলাকায় আবাসনের নামে রাতের আঁধারে কাটা হয় পাহাড়। পরিবেশ অধিদপ্তর খবর পেয়ে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। নোটিশ দেয় পাহাড় কর্তনকারীদের। পরে শুনানি করে জরিমানা করে। জরিমানা একটু বেশি মনে হলে আপিলের সুযোগ আছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে। এরপর রয়েছে আদালত। জরিমানা আদেশের পরও বছরের পর বছর চলে যায় সরকারি রাজস্ব আদায়ে। দীর্ঘ এই আইনি সুযোগে পাহাড় আর পাহাড় থাকে না। প্রভাবশালীরা কেটে সমতল বানিয়ে নেয়। গড়ে তুলে ভবন। এই যখন অবস্থা, তখন পাহাড়ের নিরাপত্তা থাকার কথা নয়। কারণ নগরীতে জমির দাম অনেক। বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামে রয়েছে কাঠাপ্রতি ১৫ লাখ থেকে পাঁচ কোটি টাকার দামের জমি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়টিতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। রীমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়টির প্রবেশ পথের ফটকটি ছিল তালাবদ্ধ, ছিল নিরাপত্তা প্রহরী। পরে জামালখান এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে দেখা যায়, তিনটি স্কেভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়টি। ইতোমধ্যে পাহাড়টির উপরিভাগের প্রায় সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীও। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক আজাদীকে বলেন, আমরা গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক পাহাড়টি কাটার বিষয়ে কিছু জানি না। পাহাড় কাটার ঘটনা সত্যি হলে অভিযানের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।