টেকনাফে লাকিং মে’র মৃতদেহ হিমঘরে থাকার বিল পরিশোধ র‌্যাবের

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৯:৫২ অপরাহ্ণ

টেকনাফে রহস্যজনকভাবে নিহত চাকমা কিশোরী লাকিং মে-র মৃতদেহ হিমঘরে থাকার বিল পরিশোধ করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ ২৬ দিন ধরে তার মরদেহ পড়েছিল কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে।
পরে আদালতের নির্দেশে লাকিং মে’র মরদেহ তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আর ২৬ দিন হিমঘরে লাশ রাখার বিল এসেছে ২৪ হাজার টাকা কিন্তু দরিদ্র লাকিং মে’র পিতা লালা অং চাকমার এ বিল পরিশোধের সামর্থ্য নেই। লাকিং মে’র বাবা লালা অং চাকমা তার এই অপারগতার কথা মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব-১৫ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা নিজেদের তহবিল থেকে এই বিল পরিশোধ করেন। পরে পিতা লালা অং কন্যা লাকিং মে’র মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় বলে জানায় র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার দক্ষিণ শিলখালী এলাকার চাকমা পল্লীর বাসিন্দা লাকিং মে চাকমা গত বছরের ৫ জানুয়ারি ধর্মান্তরিত হয়ে এক যুবককে বিয়ে করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন তিনি এবং ১০ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়।
একপক্ষ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও অপর পক্ষের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড। কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ নিহত কিশোরী লাকিং মে চাকমার ধর্মান্তরকরণ এবং অপহরণের ঘটনা তদন্ত করতে দায়িত্ব দেয় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজারকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে ভর্তি শেষ করতে হবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে চুরি