লেখালেখির স্বপ্নীল ভুবনের দুয়ার উন্মোচন করেছিলেন আমার বড় ভাইয়া। সেই থেকে লেখালেখির পোকা ঢুকে গেছে মাথায়। ক্লাস থ্রিতে পড়ুয়া ছোট বোনটির লেখা ছাপিয়ে প্রথম আমার লেখালেখিতে বিচরণ করতে চেয়েছি। বাবা ছিলেন মগ্ন পাঠক, লেখা ছাপা হলে পত্রিকার পাতা কাটিং করতে দিতেন না, জেরঙ করতে বলতেন। নানী আর মা ও উৎসাহ দিতেন। ছোটবেলায় মার মুখে শেখ সাদীর সেই কবিতাটা -‘একদা স্নানের আগারে পশিয়া/হেরিনু মাটির ঢেলা/হাতে নিয়া তারে দেখিনু/রয়েছে সুবাস মেলা/কহিলাম তাহারে কস্তুরি তুমি /তুমি কি আতরদান/তোমার গায়েতে সুবাস মেলা/তুমি কি গুলিস্তান ‘। বাবা আর ভাই বোনদের পাঠ্যাভ্যাস ও সংগ্রহ, বই পড়ার অনুকূল পরিবেশ আমাদের পরিবারে ছিলো। পরিবারে সবার কম বেশি লেখালেখির অভ্যাস ছিলো। বড় ভাইয়া ছিলেন একাধারে গল্পকার, কবি ও নাট্যকর্মী। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে আমরা আজো গভীরভাবে শোকাহত। আমার জীবনসঙ্গীও আমাকে লেখালেখিতে প্রাণিত করেন। আর একজন মানুষ যাঁর আন্তরিক উৎসাহের কথা বলতেই হয়। তিনি শ্রদ্ধেয় রাশেদ রউফ ভাইয়া। মাঝে মাঝে কেমন আছি খোঁজ নেন। আর বলেন তোমাকে ভালো থাকতে হবে, সুস্থ থাকতে হবে। ভাইয়ার পাশে থাকতে হবে। ভাইয়ার কথা আমার কাছে বেদবাক্যতুল্য। টানা একমাস অনলাইন বাংলা বইমেলায় ছিলাম নিয়মিত। যদি সামান্যতম উপকারও হয়, তাহলে ভাববো আমি রামানুজ কিংবা হনুমানের খড়িকাঠের মতো। একমাস ধরে অনলাইন বাংলা বইমেলার সফল আয়োজনের জন্য প্রধান কান্ডারী রাশেদ ভাই সহ সবাইকে ধন্যবাদ। নতুন বছর এমনি করে আবারো যেনো প্রাণের বইমেলা উৎসবে পরিণত হয়।