চান্দগাঁওয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৪

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা কামাল বাজার এলাকায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বিএনপির এক সমাবেশকে ঘিরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে তৌহিদ ইরফান নামে যুবলীগের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হওয়া ইরফানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নুরুন নবী সাহেদ। অপরদিকে মারামারির ঘটনায় বিএনপির ৩ জন কর্মীও আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ও মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আজম।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের সাংগঠনিক বৈঠকের অংশ হিসেবে মোহরা ওয়ার্ডের কর্ণফুলী সেন্টারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর ছাড়াও মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিজনক বক্তব্য দেয়া হয় অভিযোগ করে চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নুরুন নবী সাহেদ আজাদীকে বলেন, কবির টাওয়ারের নিচে একা পেয়ে যুবলীগের কর্মী তৌহিদ ইরফানকে মারধর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মারধরে ইরফানের গুরুতর জখম হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এসময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ আমরা তাদের ধাওয়া দিই। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে যুবলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ও মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আজম। তিনি আজাদীকে বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয়ভাবে সমাবেশের আয়োজন করি। কিন্তু নুরুন নবী সাহেদ ও মামুনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের ৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সমাবেশে যাতে লোকজন অংশ নিতে না পারে, সেজন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা কর্ণফুলী সেন্টার ও কবির টাওয়ারের সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। তাদের ব্যারিকেডের কারণে স্থানীয়দের বাসা-বাড়িতেও যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। তারা ইট-পাটকেল মেরে আমাদের মার্কেটের অনেক গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। মারামারির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে পুুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত ৭
পরবর্তী নিবন্ধ৪২৫ টাকায় পাওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী